ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পালাতে গিয়ে টিকটক হৃদয়সহ গুলিবিদ্ধ ২

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৭:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১
  • / 174

সংগৃহীত ছবি

::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

ভারতের কেরালায় বাংলাদেশি তরুণীকে যৌন নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় জড়িত বাংলাদেশি তরুণ রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় ও তার সহযোগী সাগর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

শুক্রবার সকালে পুলিশ অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দুই আসামি পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তাদের পায়ে করলে গুলি করলে ওই ২ জন আহত হন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য মতে, শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ ঘটনার পুনঃতদন্তের জন্য অপরাধীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অপরাধস্থলে। দুজন পালানোর চেষ্টা করায় পুলিশ বাধ্য হয় গুলি চালাতে। অভিযুক্তদের পায়ে গুলি লেগেছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিলের বাসিন্দা রিফাতুল ইসলাম হৃদয়ও রয়েছেন, যিনি এলাকায় ‘টিকটক হৃদয় বাবু’ নামে পরিচিত।

বেঙ্গালুরু পুলিশ বলছে, বেঙ্গালুরুর বনসওয়াদির চান্নাসান্দ্রা এলাকায় ওই তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। ২২ বছরের ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতনের পর দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। এরপর ভিডিও ক্লিপ দেখে ঘটনায় জড়িত ২ নারীসহ ৬ জনকে দ্রুত শনাক্ত করে আটক করা হয়। এরপর ভিডিও ক্লিপ এবং আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে রামমূর্তি নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নিপীড়ন ও এ সংশ্লিষ্ট আইনের অন্যান্য ধারায় মামলা করা হয়। গ্রেপ্তার সবাই একই গ্রুপের এবং সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে ঢাকার পুলিশ বলছে, গণমাধ্যম থেকে তারাও গ্রেপ্তারের খবর জেনেছেন। আর ওই ঘটনায় ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা।

হাতিরঝিল থানার ওসি মো. আব্দুর রশীদ বলেন, টিকটকার হৃদয় বাবুসহ কয়েকজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেছেন মেয়েটির বাবা। গণমাধ্যম থেকে আমরা কয়েকজনকে গ্রেপ্তার খবর পেয়েছি। তবে অফিসিয়াল চ্যানেলে এখনও ভারতের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী ও নির্যাতনকারীদের একজন ঢাকার মগবাজার এলাকার। তবে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালায়। সাইবার পেট্রোলের অংশ হিসেবে ভিডিওটি পুলিশের নজরে আসে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পালাতে গিয়ে টিকটক হৃদয়সহ গুলিবিদ্ধ ২

আপডেট : ০৭:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১
::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

ভারতের কেরালায় বাংলাদেশি তরুণীকে যৌন নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় জড়িত বাংলাদেশি তরুণ রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় ও তার সহযোগী সাগর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

শুক্রবার সকালে পুলিশ অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দুই আসামি পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তাদের পায়ে করলে গুলি করলে ওই ২ জন আহত হন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য মতে, শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ ঘটনার পুনঃতদন্তের জন্য অপরাধীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অপরাধস্থলে। দুজন পালানোর চেষ্টা করায় পুলিশ বাধ্য হয় গুলি চালাতে। অভিযুক্তদের পায়ে গুলি লেগেছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিলের বাসিন্দা রিফাতুল ইসলাম হৃদয়ও রয়েছেন, যিনি এলাকায় ‘টিকটক হৃদয় বাবু’ নামে পরিচিত।

বেঙ্গালুরু পুলিশ বলছে, বেঙ্গালুরুর বনসওয়াদির চান্নাসান্দ্রা এলাকায় ওই তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। ২২ বছরের ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতনের পর দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। এরপর ভিডিও ক্লিপ দেখে ঘটনায় জড়িত ২ নারীসহ ৬ জনকে দ্রুত শনাক্ত করে আটক করা হয়। এরপর ভিডিও ক্লিপ এবং আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে রামমূর্তি নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নিপীড়ন ও এ সংশ্লিষ্ট আইনের অন্যান্য ধারায় মামলা করা হয়। গ্রেপ্তার সবাই একই গ্রুপের এবং সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে ঢাকার পুলিশ বলছে, গণমাধ্যম থেকে তারাও গ্রেপ্তারের খবর জেনেছেন। আর ওই ঘটনায় ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা।

হাতিরঝিল থানার ওসি মো. আব্দুর রশীদ বলেন, টিকটকার হৃদয় বাবুসহ কয়েকজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেছেন মেয়েটির বাবা। গণমাধ্যম থেকে আমরা কয়েকজনকে গ্রেপ্তার খবর পেয়েছি। তবে অফিসিয়াল চ্যানেলে এখনও ভারতের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী ও নির্যাতনকারীদের একজন ঢাকার মগবাজার এলাকার। তবে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালায়। সাইবার পেট্রোলের অংশ হিসেবে ভিডিওটি পুলিশের নজরে আসে।