ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তামিমা-নাসিরের জামিন মঞ্জুর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৪০:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১
  • / 111

ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি ও তার শাশুড়ি সুমি আক্তারকে জামিন দিয়েছেন আদালত। রোববার তারা ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পেশকার মো. মাসুদ।

এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর নাসির ও তামিমাসহ তিনজনকে ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করেন আদালত। ৩০ সেপ্টেম্বর নাসির-তামিমার বিয়ে অবৈধ বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তিনজনকে আসামি করে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

এরপর মামলার বাদী ও তামিমার প্রথম স্বামী ব্যবসায়ী মো. রাকিব হাসানের পক্ষে তার আইনজীবী ইশরাত জাহান তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাকিবকে তালাক দেননি তামিমা। আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মি এখনো রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ। প্রতিবেদনে এ দুজন ছাড়াও অবৈধ বিয়েতে সহযোগিতা করার জন্য তামিমার মা সুমি আক্তারকেও দোষী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ওই দিনই আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর শুনানি শেষে মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের (২০২১) ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তামিমা-নাসিরের জামিন মঞ্জুর

আপডেট : ১১:৪০:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১

ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি ও তার শাশুড়ি সুমি আক্তারকে জামিন দিয়েছেন আদালত। রোববার তারা ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পেশকার মো. মাসুদ।

এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর নাসির ও তামিমাসহ তিনজনকে ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করেন আদালত। ৩০ সেপ্টেম্বর নাসির-তামিমার বিয়ে অবৈধ বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তিনজনকে আসামি করে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

এরপর মামলার বাদী ও তামিমার প্রথম স্বামী ব্যবসায়ী মো. রাকিব হাসানের পক্ষে তার আইনজীবী ইশরাত জাহান তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাকিবকে তালাক দেননি তামিমা। আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মি এখনো রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ। প্রতিবেদনে এ দুজন ছাড়াও অবৈধ বিয়েতে সহযোগিতা করার জন্য তামিমার মা সুমি আক্তারকেও দোষী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ওই দিনই আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর শুনানি শেষে মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের (২০২১) ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।