ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রংপুরে পুলিশের ‘নির্যাতনে মৃত্যু’, পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৩৯:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
  • / 103
রংপুরের হারাগাছ থানা পুলিশের ‘নির্যাতনে’ তাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া নজরে আনলে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।

ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ঘটনার পুরো বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে খবর নিতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা উচ্চ আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি ও আদেশ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে সোমবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুরের হারাগাছ এলাকায় পুলিশের অভিযানের পর হারাগাছ পৌর এলাকার দালালহাট নয়াটারী গ্রামের বাসিন্দা তাজুল ইসলামের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে তাজুলকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাও করে স্থানীয়রা। এতে স্থানীয়দের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় পুলিশের। বিক্ষুব্ধরা এ সময় বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে, সড়ক অবরোধেরও চেষ্টা করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এদিন প্রায় তিন ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

ঘটনার বিষয়ে হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী বলেন, তাজুল হেরোইন সেবন করছিলেন- এমন খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। তাকে আটকের পর হ্যান্ডকাপ পরানো হলে তিনি মলত্যাগ করে ফেলেন।

ওসির ভাষ্য, এ ঘটনার পর পুলিশ তাজুলকে স্থানীয়দের জিম্মায় দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর কিছুক্ষণ পর খবর আসে তাজুল মারা গেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রংপুরে পুলিশের ‘নির্যাতনে মৃত্যু’, পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট

আপডেট : ০১:৩৯:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
রংপুরের হারাগাছ থানা পুলিশের ‘নির্যাতনে’ তাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া নজরে আনলে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।

ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ঘটনার পুরো বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে খবর নিতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা উচ্চ আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি ও আদেশ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে সোমবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুরের হারাগাছ এলাকায় পুলিশের অভিযানের পর হারাগাছ পৌর এলাকার দালালহাট নয়াটারী গ্রামের বাসিন্দা তাজুল ইসলামের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে তাজুলকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাও করে স্থানীয়রা। এতে স্থানীয়দের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় পুলিশের। বিক্ষুব্ধরা এ সময় বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে, সড়ক অবরোধেরও চেষ্টা করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এদিন প্রায় তিন ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

ঘটনার বিষয়ে হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী বলেন, তাজুল হেরোইন সেবন করছিলেন- এমন খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। তাকে আটকের পর হ্যান্ডকাপ পরানো হলে তিনি মলত্যাগ করে ফেলেন।

ওসির ভাষ্য, এ ঘটনার পর পুলিশ তাজুলকে স্থানীয়দের জিম্মায় দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর কিছুক্ষণ পর খবর আসে তাজুল মারা গেছেন।