ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ই-কমার্সের প্রতিবেদন দাখিলে সময়ক্ষেপণ, হাইকোর্টের ক্ষোভ  

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৩২:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
  • / 108
দেশের ই-কমার্স খাত থেকে অর্থপাচারের বিষয়ে নেয়া পদক্ষেপ এবং এ খাতের কর আদায়ে নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলে বার বার সময় দিলেও এখন পর্যন্ত দাখিল না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরে প্রতিবেদনের জন্য আদালত আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দেয়।

এ মামলার শুনানি শুরু হলে কোর্টে দায়িত্বরত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, ‘নোটিশ জারির পরও তারা সাড়া দিচ্ছেন না। এসব আমরা টলারেট করব না। বিষয়টি নিয়ে আপনি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেন। আমরা কিন্তু বিষয়টি সিরিয়াসলি নেব।’

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

ই-কমার্স খাতের ভোক্তাদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে করা পৃথক তিনটি রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট প্রতিবেদন চেয়ে আদেশ দেয়।

আদেশে বলা হয়, ই-কমার্স খাত থেকে অর্থপাচারের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানাতে হবে। এছাড়া, ই-কর্মাস খাত থেকে কর আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো নীতি আছে কিনা তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে কারিগরি কমিটি করেছে সে কমিটির কর্মপরিকল্পনা ও কার্যপরিধি জানতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ই-কমার্সের প্রতিবেদন দাখিলে সময়ক্ষেপণ, হাইকোর্টের ক্ষোভ  

আপডেট : ১১:৩২:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
দেশের ই-কমার্স খাত থেকে অর্থপাচারের বিষয়ে নেয়া পদক্ষেপ এবং এ খাতের কর আদায়ে নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলে বার বার সময় দিলেও এখন পর্যন্ত দাখিল না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরে প্রতিবেদনের জন্য আদালত আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দেয়।

এ মামলার শুনানি শুরু হলে কোর্টে দায়িত্বরত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, ‘নোটিশ জারির পরও তারা সাড়া দিচ্ছেন না। এসব আমরা টলারেট করব না। বিষয়টি নিয়ে আপনি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেন। আমরা কিন্তু বিষয়টি সিরিয়াসলি নেব।’

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

ই-কমার্স খাতের ভোক্তাদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে করা পৃথক তিনটি রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট প্রতিবেদন চেয়ে আদেশ দেয়।

আদেশে বলা হয়, ই-কমার্স খাত থেকে অর্থপাচারের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানাতে হবে। এছাড়া, ই-কর্মাস খাত থেকে কর আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো নীতি আছে কিনা তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে কারিগরি কমিটি করেছে সে কমিটির কর্মপরিকল্পনা ও কার্যপরিধি জানতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।