ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বগুড়া প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০৯:৩৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 135
বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী রতন মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াছমিন এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত রতন মিয়া সদর উপজেলার গাজী পালশা এলাকার মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় রতন মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২ সালে বগুড়া সদর উপজেলার গাজী পালশা এলাকার মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে রতন মিয়ার সাথে একই গ্রামের আজাহার আলীর মেয়ে শাকিলা খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের দশ বছর পর রতন তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাকিলা খাতুন মামলার প্রস্তুতি নেন। তখন রতন মিয়া তালাকের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কিন্তু শাকিলার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে।

সর্বশেষ ২০০২ সালের ২০ জুন রাতে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। পরদিন রতন মিয়া তার স্ত্রী শাকিলা খাতুনকে গ্রাম্য এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সকাল ৮টায় শহরের গোদারপাড়া এলাকায় পৌঁছার পর রতন মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই শাকিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনায় নিহত শাকিলা খাতুনের ভাই সারোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রতন মিয়াকে আসামি করে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রায় ৪ মাসের তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ১৭ অক্টোবর পুলিশ আদালতে রতন মিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। পুলিশের প্রতিবেদন, আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক ও ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আপডেট : ০৯:৩৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী রতন মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াছমিন এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত রতন মিয়া সদর উপজেলার গাজী পালশা এলাকার মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় রতন মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২ সালে বগুড়া সদর উপজেলার গাজী পালশা এলাকার মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে রতন মিয়ার সাথে একই গ্রামের আজাহার আলীর মেয়ে শাকিলা খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের দশ বছর পর রতন তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাকিলা খাতুন মামলার প্রস্তুতি নেন। তখন রতন মিয়া তালাকের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কিন্তু শাকিলার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে।

সর্বশেষ ২০০২ সালের ২০ জুন রাতে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। পরদিন রতন মিয়া তার স্ত্রী শাকিলা খাতুনকে গ্রাম্য এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সকাল ৮টায় শহরের গোদারপাড়া এলাকায় পৌঁছার পর রতন মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই শাকিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনায় নিহত শাকিলা খাতুনের ভাই সারোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রতন মিয়াকে আসামি করে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রায় ৪ মাসের তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ১৭ অক্টোবর পুলিশ আদালতে রতন মিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। পুলিশের প্রতিবেদন, আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক ও ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।