দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পত্তি : অনুসন্ধান চেয়ে রিট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৫:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 181
গণমাধ্যমে আসা দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পত্তি থাকার বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক রিট আবেদন করেছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ এই আবেদন গ্রহণ করেন। আগামী রোববার (১৫ জানুয়ারি) আবেদনের শুনানির জন্য ঠিক করেছেন আদালত।

এদিন সকালে জনস্বার্থে দায়ের করা এই রিট আবেদনে দুদক, বিএফআইইউ, এনবিআর ও সিআইডিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

এর আগে বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি সংক্রান্ত গণমাধ্যমে আসা সংবাদের বিষয়টি নজরে আনেন সুবির নন্দি দাস। তখন আইনজীবীকে রিট আকারে আসতে বলেছেন হাইকোর্ট।

অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস জানান, বিদেশে সুইস ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাচার ও কানাডার বেগম পাড়ায় বাড়ি নির্মাণের খবরের পর এটি একটি আলোচিত ঘটনা। তাই এ বিষয়ে আজকে সম্পূরক আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

১০ জানুয়ারি একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি প্রপার্টি ক্রয়ের তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার।

দুবাইয়ে বসবাসকারীসহ বিভিন্ন সূত্রের অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো তথ্য অনুযায়ী, ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির পরিসংখ্যানটি করা হয়েছে সিএডিএসের ২০২০ সালের তথ্য নিয়ে। এরপর গত দুই বছরে দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের প্রপার্টি ক্রয়ের প্রবণতা আরও ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছে বাংলাদেশিরা, যার তথ্য তারা দেশে পুরোপুরি গোপন করে গেছেন। বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের গোপনে কেনা প্রপার্টির অর্থমূল্য এখন কম করে হলেও ১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পত্তি : অনুসন্ধান চেয়ে রিট

আপডেট : ০৫:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩
গণমাধ্যমে আসা দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পত্তি থাকার বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক রিট আবেদন করেছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ এই আবেদন গ্রহণ করেন। আগামী রোববার (১৫ জানুয়ারি) আবেদনের শুনানির জন্য ঠিক করেছেন আদালত।

এদিন সকালে জনস্বার্থে দায়ের করা এই রিট আবেদনে দুদক, বিএফআইইউ, এনবিআর ও সিআইডিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

এর আগে বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি সংক্রান্ত গণমাধ্যমে আসা সংবাদের বিষয়টি নজরে আনেন সুবির নন্দি দাস। তখন আইনজীবীকে রিট আকারে আসতে বলেছেন হাইকোর্ট।

অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস জানান, বিদেশে সুইস ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাচার ও কানাডার বেগম পাড়ায় বাড়ি নির্মাণের খবরের পর এটি একটি আলোচিত ঘটনা। তাই এ বিষয়ে আজকে সম্পূরক আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

১০ জানুয়ারি একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি প্রপার্টি ক্রয়ের তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার।

দুবাইয়ে বসবাসকারীসহ বিভিন্ন সূত্রের অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো তথ্য অনুযায়ী, ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির পরিসংখ্যানটি করা হয়েছে সিএডিএসের ২০২০ সালের তথ্য নিয়ে। এরপর গত দুই বছরে দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের প্রপার্টি ক্রয়ের প্রবণতা আরও ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছে বাংলাদেশিরা, যার তথ্য তারা দেশে পুরোপুরি গোপন করে গেছেন। বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের গোপনে কেনা প্রপার্টির অর্থমূল্য এখন কম করে হলেও ১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।