ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী হত্যা: ১৯ বছর পর স্বামীর ফাঁসি কার্যকর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৫১:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১
  • / 207

প্রতীকী ছবি

::হিলি প্রতিনিধি::

স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আব্দুল হক নামে এক আসামির ১৯ বছর পর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে দিনাজপুর জেলা কারাগারে।

বুধবার দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর হয়। দিনাজপুর জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরপর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে বিকেলে আবদুল হকের পরিবারের ১৫ সদস্য (নিকটাত্মীয়) শেষ সাক্ষাৎ করেন। তারা তার সঙ্গে দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে কথা বলেন এবং খাবার খাইয়ে চলে যান। পরে রাতে তার ফাঁসি কার্যকর হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন ছাড়াও রংপুর ডিআইজি (প্রিজন) আলতাফ হোসেন, কারা চিকিৎসকসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুল হকের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভক্তিপুর চৌধুরীপাড়া এলাকায়। ২০০২ সালের ২৮ আগস্ট থেকে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন।

কারা সূত্রে জানা গেছে, আবদুল হক ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। পরে তার শাশুড়ি বাদী হয়ে ২০০২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। মামলা নং ১৫। ২০০৭ সালের ৩ মে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আবদুল হককে মৃত্যুদণ্ড দেন।

সর্বশেষ আব্দুল হক রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন। গত বছরের ১৮ মে মামলাটির যাবতীয় বিবেচনায় রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন না মঞ্জুর করলে ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। সে হিসেবেই রাজশাহী থেকে ওহিদুল ইসলাম নামে একজন জল্লাদের মাধ্যমে ৯ জুন দিবাগত রাতে আব্দুল হকের ফাঁসি কার্যকর হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

স্ত্রী হত্যা: ১৯ বছর পর স্বামীর ফাঁসি কার্যকর

আপডেট : ১১:৫১:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১
::হিলি প্রতিনিধি::

স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আব্দুল হক নামে এক আসামির ১৯ বছর পর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে দিনাজপুর জেলা কারাগারে।

বুধবার দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর হয়। দিনাজপুর জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরপর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে বিকেলে আবদুল হকের পরিবারের ১৫ সদস্য (নিকটাত্মীয়) শেষ সাক্ষাৎ করেন। তারা তার সঙ্গে দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে কথা বলেন এবং খাবার খাইয়ে চলে যান। পরে রাতে তার ফাঁসি কার্যকর হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন ছাড়াও রংপুর ডিআইজি (প্রিজন) আলতাফ হোসেন, কারা চিকিৎসকসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুল হকের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভক্তিপুর চৌধুরীপাড়া এলাকায়। ২০০২ সালের ২৮ আগস্ট থেকে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন।

কারা সূত্রে জানা গেছে, আবদুল হক ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। পরে তার শাশুড়ি বাদী হয়ে ২০০২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। মামলা নং ১৫। ২০০৭ সালের ৩ মে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আবদুল হককে মৃত্যুদণ্ড দেন।

সর্বশেষ আব্দুল হক রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন। গত বছরের ১৮ মে মামলাটির যাবতীয় বিবেচনায় রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন না মঞ্জুর করলে ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। সে হিসেবেই রাজশাহী থেকে ওহিদুল ইসলাম নামে একজন জল্লাদের মাধ্যমে ৯ জুন দিবাগত রাতে আব্দুল হকের ফাঁসি কার্যকর হয়।