সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন
- আপডেট : ০৭:০১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
- / 160
এর আগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মিছিল, স্লোগান আর পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যদিয়ে সকাল ১০টায় শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকলেও ঘটেনি কোনো সংঘর্ষের ঘটনা। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির কাছে বুধবারের পুলিশি হামলার বিষয়ে নালিশ জানালে এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে দ্বায়িত্ব দেন প্রধান বিচারপতি।
অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, আইনজীবীদের সমস্যা তাদেরই সমাধান করতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি।
এদিন নির্বাচন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদেরকে পুলিশের মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।
এর আগে, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যদিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের প্রথম দিনের ভোট গ্রহণ বুধবার বিকেলে শেষ হয়। ওইদিন সকাল ১০টায় শুরুর কথা থাকলেও ভোটগ্রহণ শুরু হয় বেলা ১টার দিকে। এদিন আওয়ামী লীগপন্থি আইজীবীদের গঠন করা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে উত্তেজনা তৈরি হয়। দুপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হট্টগোল হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। বেলা ১২টার দিকে ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পিটিয়ে বের করে দেয় পুলিশ।
আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও মারধরের শিকার হন সময় সংবাদের ক্যামেরাপার্সন সোলায়মান স্বপন, এটিএন নিউজের রিপোর্টারসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এদিকে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছিনতাই, হট্টগোলের ঘটনায় বিএনপিপন্থি প্যানেলের সভাপতি, সম্পাদক প্রার্থীসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে।
বুধবার রাতে নির্বাচন সাব কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ জন আইনজীবীকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২ দিনব্যাপী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল ৭টা থেকেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে ছিল শত শত পুলিশের উপস্থিতি। এছাড়া সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।