এক মাসের মধ্যে কারাগারে শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৩:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
  • / 163
দেশের সব কারাগারে শূন্যপদে এক মাসের মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালত বলেছেন, ‘কারাগারে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশ গরিব। এ জন্য কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে এ গরিব মানুষগুলোকে বাঁচান।’

আদালত বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। মানুষের সেবার জন্য ক্ষমতা ব্যবহার করুন।’

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিকালে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জে আর খান রবিন। আর কারা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম।

প্রথমে আদালত জানতে চান কারাগারে কতজন চিকিৎসক নিয়োগ হয়েছে। জবাবে কারা অধিদপ্তরের আইনজীবী বলেন, ‘১২৫ জন। আদালত বলেন, ‘এই ১২৫ জন দিয়ে বাদ বাকি কীভাবে কাভার করছেন?’ কারা অধিদপ্তরের আইনজীবী বলেন, ‘কাজ চলছে।’

এ সময় আদালত বলেন, ‘কত বছর লাগবে? ডাক্তারের তো অভাব নেই। নিয়োগ দেন না কেন? কেন্দ্রীয় কারাগারেই দিচ্ছেন না, তাহলে জেলা কারাগারের অবস্থা তো আরও খারাপ। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে আপনারা বের হতে পারছেন না। এটা যে স্বাধীন দেশ তা মনেই হয় না। শুধু চিঠি চালাচালি করছেন। ক্ষমতা অপব্যবহার করার জন্য না, মানুষের সেবা করার জন্য। কারাগারে গরিব মানুষ থাকে, ধনীরা থাকলেও ডিভিশন পান অনেকেই। গরিব মানুষদের বাঁচান।’

পরে আদালত কারা অধিদপ্তরের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা এক মাস পর তারিখ রাখছি। আপনি রিকুইজিশন দেবেন।’

এরপর আদালত শুনানি মুলতবি করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এক মাসের মধ্যে কারাগারে শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ

আপডেট : ০৩:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
দেশের সব কারাগারে শূন্যপদে এক মাসের মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালত বলেছেন, ‘কারাগারে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশ গরিব। এ জন্য কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে এ গরিব মানুষগুলোকে বাঁচান।’

আদালত বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। মানুষের সেবার জন্য ক্ষমতা ব্যবহার করুন।’

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিকালে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জে আর খান রবিন। আর কারা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম।

প্রথমে আদালত জানতে চান কারাগারে কতজন চিকিৎসক নিয়োগ হয়েছে। জবাবে কারা অধিদপ্তরের আইনজীবী বলেন, ‘১২৫ জন। আদালত বলেন, ‘এই ১২৫ জন দিয়ে বাদ বাকি কীভাবে কাভার করছেন?’ কারা অধিদপ্তরের আইনজীবী বলেন, ‘কাজ চলছে।’

এ সময় আদালত বলেন, ‘কত বছর লাগবে? ডাক্তারের তো অভাব নেই। নিয়োগ দেন না কেন? কেন্দ্রীয় কারাগারেই দিচ্ছেন না, তাহলে জেলা কারাগারের অবস্থা তো আরও খারাপ। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে আপনারা বের হতে পারছেন না। এটা যে স্বাধীন দেশ তা মনেই হয় না। শুধু চিঠি চালাচালি করছেন। ক্ষমতা অপব্যবহার করার জন্য না, মানুষের সেবা করার জন্য। কারাগারে গরিব মানুষ থাকে, ধনীরা থাকলেও ডিভিশন পান অনেকেই। গরিব মানুষদের বাঁচান।’

পরে আদালত কারা অধিদপ্তরের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা এক মাস পর তারিখ রাখছি। আপনি রিকুইজিশন দেবেন।’

এরপর আদালত শুনানি মুলতবি করেন।