সিএমএম কোর্টে ৩৭৫ জন আনসার সদস্য 

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৫:০৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / 33
সচিবালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ ও রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দুজন নারী আনসারসহ গ্রেপ্তারকৃত ৩৭৫ জনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম কোর্ট) হাজির করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ, রমনা, বিমানবন্দর ও পল্টন থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ঢাকার সিএমএম কোর্টে তাদের তোলা হবে।

এর আগে রোববার রাতে সচিবালয় এলাকায় ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় রাজধানীর একাধিক থানায় মামলা হয়েছে। শাহবাগ থানায় ২০৮ এজহার নামীয়সহ অজ্ঞাত ২-৩ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পল্টন থানায় ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৩-৪ হাজার জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এছাড়া রমনা থানায় ৯৮ জনে নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২-৩ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করা কথা রয়েছে।

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রোববার দুপুর থেকে সচিবালয়ের সামনে আন্দোলন করেন আনসার সদস্যরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা বাধা উপেক্ষা করেই প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। এ সময় তারা দাবি আদায়ে নানা স্লোগান নিতে থাকেন। পরে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আনসারদের ৬ মাসের রেস্ট প্রথা আর থাকবে না। এটি বাতিলের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতীয়করণের দাবি সুপারিশ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।’

তবে এরপরও সচিবালয় থেকে অবরোধ তুলে না নিয়ে সেখানেই অবস্থান নেন আন্দোলনকারী আনসার সদস্যরা। এতে সচিবালয় অবরুদ্ধ হয়ে যায়। আটকা পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। অবরুদ্ধ সমন্বয়কদের ছাড়াতে গেলে গেলে রাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। আটক হন আনসার সদস্যরা।

এ ঘটনায় ৭০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি।

সংঘর্ষের পর রোববার রাতেই এক গণবিজ্ঞপ্তিতে সচিবালয় ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বাসভবন যমুনার আশপাশে যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সিএমএম কোর্টে ৩৭৫ জন আনসার সদস্য 

আপডেট : ০৫:০৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
সচিবালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ ও রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দুজন নারী আনসারসহ গ্রেপ্তারকৃত ৩৭৫ জনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম কোর্ট) হাজির করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ, রমনা, বিমানবন্দর ও পল্টন থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ঢাকার সিএমএম কোর্টে তাদের তোলা হবে।

এর আগে রোববার রাতে সচিবালয় এলাকায় ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় রাজধানীর একাধিক থানায় মামলা হয়েছে। শাহবাগ থানায় ২০৮ এজহার নামীয়সহ অজ্ঞাত ২-৩ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পল্টন থানায় ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৩-৪ হাজার জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এছাড়া রমনা থানায় ৯৮ জনে নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২-৩ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করা কথা রয়েছে।

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রোববার দুপুর থেকে সচিবালয়ের সামনে আন্দোলন করেন আনসার সদস্যরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা বাধা উপেক্ষা করেই প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। এ সময় তারা দাবি আদায়ে নানা স্লোগান নিতে থাকেন। পরে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আনসারদের ৬ মাসের রেস্ট প্রথা আর থাকবে না। এটি বাতিলের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতীয়করণের দাবি সুপারিশ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।’

তবে এরপরও সচিবালয় থেকে অবরোধ তুলে না নিয়ে সেখানেই অবস্থান নেন আন্দোলনকারী আনসার সদস্যরা। এতে সচিবালয় অবরুদ্ধ হয়ে যায়। আটকা পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। অবরুদ্ধ সমন্বয়কদের ছাড়াতে গেলে গেলে রাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। আটক হন আনসার সদস্যরা।

এ ঘটনায় ৭০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি।

সংঘর্ষের পর রোববার রাতেই এক গণবিজ্ঞপ্তিতে সচিবালয় ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বাসভবন যমুনার আশপাশে যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।