ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অটো নিয়ে ছিনতাই, মোটরসাইকেলে চড়ে চম্পট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৩:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১
  • / 146
::চট্টগ্রাম প্রতিনিধি::

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সিএনজিচালিত অটো ও মোটরসাইকেল নিয়ে সারা শহর ঘুরে ডাকাতি ও ছিনতাই করে বেড়ায় সাত সদস্যের একটি চক্র। তারা কখনো রিকশার যাত্রীকে টার্গেট করে, কখনো সিএনজিতে ভাড়ায় উঠিয়ে যাত্রীকে টার্গেট করে। আবার কখনো বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নিয়ে বের হওয়া ব্যক্তিদের টার্গেট করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতি করে তারা।

তাদের মধ্যে একটি গ্রুপ ছিনতাই করার সময় অপর গ্রুপ মোটরসাইকেলযোগে ব্যাকআপ দেয়। ছিনতাই ও ডাকাতি শেষে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এ চক্রের ৩ সদস্য। এ সময় ছিনতাই চক্রের বাকি ৪ সদস্য পালিয়ে যায়।

গতকাল শুক্রবার (২৫ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি দেশিয় তৈরি এলজি, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি টিপ ছোরা ও ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।

শনিবার বিকেলে বিষয়টি জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দীন। আজ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বায়েজিদের বার্মা কলোনির আমানত আলীর ছেলে মো. আরমান আলী (২৩), পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউপির মো. বাবুলের ছেলে মো. রফিকুল আলম (২৩) ও বায়েজিদের বালুছড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. আবু (২৬)। তাদের মধ্যে আরমান আলীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দ্রুতবিচার আইনে মামলা আছে।

ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদের পশ্চিম গেইটের পাশ থেকে ওই তিনজনকে একটি এলজি, তিন রাউন্ড কার্তুজ ও দুটি টিপছোরাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান টের পেয়ে চারজন অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা পেশাদার ডাকাতদলের সদস্য। রাস্তায় চলাচলরত সিএনজি-অটোরিকশার গতিরোধ করে তারা যাত্রীদের সর্বস্ব কেড়ে নেয়। তাদের মধ্যে একটি গ্রুপ ছিনতাই ও ডাকাতি সংঘটন করে এবং অপর গ্রুপ মোটরসাইকেল নিয়ে ব্যাকআপ দেয়। ছিনতাই ও ডাকাতি শেষে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

চক্রটির অন্যতম লক্ষ্য ব্যাংক থেকে বের হওয়া লোকজন। টাকা তুলে ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর তারা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় বলে পুলিশ কর্মকর্তা নেজাম জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অটো নিয়ে ছিনতাই, মোটরসাইকেলে চড়ে চম্পট

আপডেট : ০৩:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১
::চট্টগ্রাম প্রতিনিধি::

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সিএনজিচালিত অটো ও মোটরসাইকেল নিয়ে সারা শহর ঘুরে ডাকাতি ও ছিনতাই করে বেড়ায় সাত সদস্যের একটি চক্র। তারা কখনো রিকশার যাত্রীকে টার্গেট করে, কখনো সিএনজিতে ভাড়ায় উঠিয়ে যাত্রীকে টার্গেট করে। আবার কখনো বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নিয়ে বের হওয়া ব্যক্তিদের টার্গেট করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতি করে তারা।

তাদের মধ্যে একটি গ্রুপ ছিনতাই করার সময় অপর গ্রুপ মোটরসাইকেলযোগে ব্যাকআপ দেয়। ছিনতাই ও ডাকাতি শেষে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এ চক্রের ৩ সদস্য। এ সময় ছিনতাই চক্রের বাকি ৪ সদস্য পালিয়ে যায়।

গতকাল শুক্রবার (২৫ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি দেশিয় তৈরি এলজি, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি টিপ ছোরা ও ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।

শনিবার বিকেলে বিষয়টি জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দীন। আজ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বায়েজিদের বার্মা কলোনির আমানত আলীর ছেলে মো. আরমান আলী (২৩), পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউপির মো. বাবুলের ছেলে মো. রফিকুল আলম (২৩) ও বায়েজিদের বালুছড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. আবু (২৬)। তাদের মধ্যে আরমান আলীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দ্রুতবিচার আইনে মামলা আছে।

ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদের পশ্চিম গেইটের পাশ থেকে ওই তিনজনকে একটি এলজি, তিন রাউন্ড কার্তুজ ও দুটি টিপছোরাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান টের পেয়ে চারজন অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা পেশাদার ডাকাতদলের সদস্য। রাস্তায় চলাচলরত সিএনজি-অটোরিকশার গতিরোধ করে তারা যাত্রীদের সর্বস্ব কেড়ে নেয়। তাদের মধ্যে একটি গ্রুপ ছিনতাই ও ডাকাতি সংঘটন করে এবং অপর গ্রুপ মোটরসাইকেল নিয়ে ব্যাকআপ দেয়। ছিনতাই ও ডাকাতি শেষে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

চক্রটির অন্যতম লক্ষ্য ব্যাংক থেকে বের হওয়া লোকজন। টাকা তুলে ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর তারা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় বলে পুলিশ কর্মকর্তা নেজাম জানান।