ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদক মামলার আসামির ব্যতিক্রমী সাজা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৩:১৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 213

মাদক মামলা

যশোরে মাদক মামলায় এক আসামির বিরুদ্ধে ব্যতিক্রমী সাজা দেয়া হয়েছে। সাজা প্রদানের পর নয় শর্ত দিয়ে এক বছর প্রবেশনে মুক্তি দিয়ে নিজ বাড়িতে থাকার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত রোববার বিকেলে যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন।

বিচারক নয়টি শর্ত দেন আসামি আলমগীরকে। বাড়িতে এই থেকে সাজা ভোগ করতে হবে। আসামিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসারের নজরদারিতে থাকতে বলা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলমগীর শার্শা উপজেলার ঢ়াড়ি পুকুর গ্রামের মৃত রজব আলী গাজীর ছেলে।

শর্তগুলো হলো, সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসারের নজরদারিতে থেকে কোন প্রকার অপরাধের সাথে জড়িত হতে পারবেন না। শান্তি বজায় রেখে সকলের সাথে সদাচারণ করতে হবে।

আদালত অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে যে কোনো সময় তলব করলে শাস্তি ভোগের জন্য প্রস্তুত হয়ে নির্ধারিত স্থানে হাজির হতে হবে। কোন প্রকার মাদক সেবন, বহন, সংরক্ষণ এবং সেবনকারী, বহনকারী ও হেফাজতকারীর সাথে মেলামেশা করা যাবে না।

একই সাথে আদালত কর্তৃক প্রবেশন অফিসারের তত্বাবধানে থেকে সার্বিক অবস্থা অবহিত করতে হবে। এই প্রবেশন অফিসারের লিখিত অনুমতি ছাড়া নিজের এলাকার বাইরে যাওয়া যাবে না।

প্রবেশনকালীন সময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র দেখতে হবে। সেগুলো হলো, একাত্তরের যীশু, নদীর নাম মধুমতি, হুলিয়া, প্রত্যাবর্তন, পতাকা, আগামী, একজন মুক্তিযোদ্ধা, ধুসর, আমরা তোমাদের ভুলবোনা, শরৎ একাত্তর।

প্রবেশনকালীন সময়ে তার ১০টি বৃক্ষ রোপন করতে হবে। একই সাথে প্রবেশনকালীন সময় প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫ জন হতদরিদ্রকে দুপুরের আহার করাতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ১৯ জুন রাত সাড়ে সাতটার সময় যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া থেকে নয় বোতল ফেনসিডিলসহ আলমগীরকে আটক করে চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।

এদিকে, রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলায় আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর আসামির হাজিরা কামাই দেয়নি। এ মামলা ছাড়া তার বিরুদ্ধে আর কোন মামলাও নেই। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগে প্রমাণিত হয়।

আসামির সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পুর্নবাসনের জন্য শর্ত সাপেক্ষে প্রবেশন অফিসারের নিয়ন্ত্রণে প্রবেশনে মুক্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মাদক মামলার আসামির ব্যতিক্রমী সাজা

আপডেট : ০৩:১৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
যশোরে মাদক মামলায় এক আসামির বিরুদ্ধে ব্যতিক্রমী সাজা দেয়া হয়েছে। সাজা প্রদানের পর নয় শর্ত দিয়ে এক বছর প্রবেশনে মুক্তি দিয়ে নিজ বাড়িতে থাকার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত রোববার বিকেলে যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন।

বিচারক নয়টি শর্ত দেন আসামি আলমগীরকে। বাড়িতে এই থেকে সাজা ভোগ করতে হবে। আসামিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসারের নজরদারিতে থাকতে বলা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলমগীর শার্শা উপজেলার ঢ়াড়ি পুকুর গ্রামের মৃত রজব আলী গাজীর ছেলে।

শর্তগুলো হলো, সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসারের নজরদারিতে থেকে কোন প্রকার অপরাধের সাথে জড়িত হতে পারবেন না। শান্তি বজায় রেখে সকলের সাথে সদাচারণ করতে হবে।

আদালত অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে যে কোনো সময় তলব করলে শাস্তি ভোগের জন্য প্রস্তুত হয়ে নির্ধারিত স্থানে হাজির হতে হবে। কোন প্রকার মাদক সেবন, বহন, সংরক্ষণ এবং সেবনকারী, বহনকারী ও হেফাজতকারীর সাথে মেলামেশা করা যাবে না।

একই সাথে আদালত কর্তৃক প্রবেশন অফিসারের তত্বাবধানে থেকে সার্বিক অবস্থা অবহিত করতে হবে। এই প্রবেশন অফিসারের লিখিত অনুমতি ছাড়া নিজের এলাকার বাইরে যাওয়া যাবে না।

প্রবেশনকালীন সময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র দেখতে হবে। সেগুলো হলো, একাত্তরের যীশু, নদীর নাম মধুমতি, হুলিয়া, প্রত্যাবর্তন, পতাকা, আগামী, একজন মুক্তিযোদ্ধা, ধুসর, আমরা তোমাদের ভুলবোনা, শরৎ একাত্তর।

প্রবেশনকালীন সময়ে তার ১০টি বৃক্ষ রোপন করতে হবে। একই সাথে প্রবেশনকালীন সময় প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫ জন হতদরিদ্রকে দুপুরের আহার করাতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ১৯ জুন রাত সাড়ে সাতটার সময় যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া থেকে নয় বোতল ফেনসিডিলসহ আলমগীরকে আটক করে চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।

এদিকে, রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলায় আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর আসামির হাজিরা কামাই দেয়নি। এ মামলা ছাড়া তার বিরুদ্ধে আর কোন মামলাও নেই। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগে প্রমাণিত হয়।

আসামির সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পুর্নবাসনের জন্য শর্ত সাপেক্ষে প্রবেশন অফিসারের নিয়ন্ত্রণে প্রবেশনে মুক্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।