ঢাকা ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে অনুমতি কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 182
চার্জশিট হওয়ার আগে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের আগে সরকারের অনুমতি নেয়ার বিধানকে কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

এদিন আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।

ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়ার পরও কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীন, সহকারি কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও সিনিয়র সহকারি কমিশনার নাজিম উদ্দিনকে পোস্টিং দেয়া থেকে বিরত থাকতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

এছাড়া এনডিসি এস এম রাহাতুল ইসলামকে বরিশালে সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পোস্টিং দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

রিটকারীর আইনজীবীরা বলেন, ওই চার সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে। সে মামলায় তারা এখনো জামিন নেননি। ফলে আইনের দৃষ্টিতে তারা এখনো পলাতক।

অথচ তারা ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে বরখাস্ত না করে একজনকে পোস্টিং দেয়া হয়েছে এবং অন্য তিনজনকে পোস্টিংয়ের চেষ্টা চলছে। যা আইনবহির্ভূত।

তাই একজনের পোস্টিংয়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং মামলার তিন আসামিকে যেন পোস্টিং দেয়া না হয় সেজন্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে অনুমতি কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

আপডেট : ০১:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
চার্জশিট হওয়ার আগে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের আগে সরকারের অনুমতি নেয়ার বিধানকে কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

এদিন আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।

ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়ার পরও কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীন, সহকারি কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও সিনিয়র সহকারি কমিশনার নাজিম উদ্দিনকে পোস্টিং দেয়া থেকে বিরত থাকতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

এছাড়া এনডিসি এস এম রাহাতুল ইসলামকে বরিশালে সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পোস্টিং দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

রিটকারীর আইনজীবীরা বলেন, ওই চার সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে। সে মামলায় তারা এখনো জামিন নেননি। ফলে আইনের দৃষ্টিতে তারা এখনো পলাতক।

অথচ তারা ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে বরখাস্ত না করে একজনকে পোস্টিং দেয়া হয়েছে এবং অন্য তিনজনকে পোস্টিংয়ের চেষ্টা চলছে। যা আইনবহির্ভূত।

তাই একজনের পোস্টিংয়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং মামলার তিন আসামিকে যেন পোস্টিং দেয়া না হয় সেজন্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।