ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির-পরিবারকে দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি নুরের
- আপডেট : ০২:০২:৩৭ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
- / 213
এর আগে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশে সরকার তার নিজ দলীয় ‘থলের বিড়াল’ বের হওয়ার ভয়ে সাম্প্রদায়িক হামলা-ভাঙচুরের তদন্ত করে না বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
নুরুল হক নুর বলেন, দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন সময় যে অঘটন ঘটাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে দাঁড়াতে হবে। শুধু সরকারের ওপর ছেড়ে দিলে হবে না। কারণ সরকার এই ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত চায় না, বিচার করতে চায় না। কারণ, তাহলে তাদের ‘থলের বিড়াল’ বের হয়ে আসবে।
এ সময় তিনি যে সমস্ত মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে সরকারি খরচে সে সমস্ত মন্দির নির্মাণ এবং যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে তিন হাজার টাকা, পাঁচ হাজার টাকা নামেমাত্র সহযোগিতা নয়, যারা যতটুকু পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার দ্বিগুণ পরিমাণ ক্ষতিপূরণ করার দাবি জানান।
তিনি বলেন, নাসিরনগরের মন্দির ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগে জড়িতে তিন জনকে স্থানীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীক দেয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি সরকার এই অপশক্তিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। আজকে সাম্প্রদায়িক হামলার একটি ঘটনারও বিচার হচ্ছে না। একটা ঘটনারও তদন্ত হচ্ছে না।
নুর সরকারের সমালোচনা করে বলেন, বিভিন্ন জায়গায় শান্তিপ্রিয় মানুষকে উস্কে দিতে তারা মিছিলে গুলি চালাচ্ছে। মিছিলে গুলি চালিয়ে তারা মানুষ হত্যা করে, মন্ত্রীরা উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতিকে উস্কে দিচ্ছে। এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত, এমপি, মন্ত্রী, বিরোধী দল যাই হোক না কেনো সকলকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
এদিকে সন্ধায় ৭টার দিকে সাম্প্রদায়িক হামলা, তাণ্ডব, লুটপাটের প্রতিবাদে ডাকসুর সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকতের নেতৃত্বে মশাল মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া ‘রাষ্ট্রীয় মদদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা’র বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে প্রগতিশীল ৮টি ছাত্র সংগঠন। এ সময় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অপসারণ দাবি করেন তারা।