ঢাকা ০১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেয়া সেই শিক্ষিকার পদত্যাগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:১৫:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 96
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন তার ওপর অর্পিত তিন পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

মঙ্গলবার রাতে ওই শিক্ষক তার দায়িত্বে থাকা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য এই ৩টি পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফ বলেন, মঙ্গলবার রাতে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন তার দায়িত্বে থাকা ৩টি পদ থেকে পদত্যাগ করলেও শিক্ষার্থীরা তার শিক্ষক পদ থেকেও পদত্যাগ চাইছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত করে প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এটা করতে পারি না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তখন এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বরীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, রোববার দুপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ের ফাইনাল পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন আগে থেকে কাঁচি হাতে পরীক্ষার হলের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের সময় যাদের মাথার চুল হাতের মুঠোর মধ্যে ধরা যায়, তাদের মাথার সামনের অংশের বেশ খানিকটা চুল তিনি কাঁচি দিয়ে কেটে দেন। এভাবে একে একে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন তিনি। এরপর পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করেন। এতে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পরেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিলে বিষয়টি ব্যাপক ভাইরাল হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেয়া সেই শিক্ষিকার পদত্যাগ

আপডেট : ০২:১৫:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন তার ওপর অর্পিত তিন পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

মঙ্গলবার রাতে ওই শিক্ষক তার দায়িত্বে থাকা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য এই ৩টি পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফ বলেন, মঙ্গলবার রাতে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন তার দায়িত্বে থাকা ৩টি পদ থেকে পদত্যাগ করলেও শিক্ষার্থীরা তার শিক্ষক পদ থেকেও পদত্যাগ চাইছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত করে প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এটা করতে পারি না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তখন এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বরীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, রোববার দুপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ের ফাইনাল পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন আগে থেকে কাঁচি হাতে পরীক্ষার হলের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের সময় যাদের মাথার চুল হাতের মুঠোর মধ্যে ধরা যায়, তাদের মাথার সামনের অংশের বেশ খানিকটা চুল তিনি কাঁচি দিয়ে কেটে দেন। এভাবে একে একে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন তিনি। এরপর পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করেন। এতে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পরেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিলে বিষয়টি ব্যাপক ভাইরাল হয়।