ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে ৬ সরকারি বিদ্যালয়ে ১১৬ শিক্ষক পদ শূন্য

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৫৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১
  • / 147
হবিগঞ্জের বনিয়াচং সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন মাত্র ৩ জন। প্রধান শিক্ষক বা সহকারী প্রধান কেউই নেই। এমনকি ইংরেজি, সামাজিক বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, ভূগোলসহ কোনো বিষয়েরই শিক্ষক নেই। এমন ভয়াবহ শিক্ষক সংকট নিয়েই চলছে ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়।

শুধু এ বিদ্যালয়ই নয়, হবিগঞ্জের ৬টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছে এমন শিক্ষক সংকট। কোনো বিদ্যালয়েই নেই প্রধান শিক্ষক। ৬টি বিদ্যালয়ের মোট ২০৪টি শিক্ষক পদের মধ্যে ১১৬টি শূন্য।

বছরের পর বছর শিক্ষকের অভাবে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। গত মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটে পাঠানো শূন্য পদের তালিকা থেকে শিক্ষক সংকটের এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ৫২টি পদের বিপরীতে সিনিয়র ও সহকারী মিলিয়ে কর্মরত আছেন ২৬ জন। ভূগোল, চারুকলা ও কৃষি বিষয়ে কোনো শিক্ষক নেই। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, ধর্ম, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও শারীরিকসহ ১৯ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এ স্কুলে মোট ১ হাজার ৫৩৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

হবিগঞ্জ বিকেজিসি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ মোট ৫২টি পদের মধ্যে ২৩টি পদ শূন্য। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৮৯১ জন ছাত্রী রয়েছে।

১৮৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বানিয়াচং উপজেলার এলআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫ জন শিক্ষকের মধ্যে আছেন মাত্র ৬ জন। বাকি ১৯টি পদ শূন্য।

১৮৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত চুনারুঘাট উপজেলার রাজার বাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫ শিক্ষকের বিপরীতে আছেন ১০ জন।

মাধবপুর উপজেলার গোবিন্দপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫ শিক্ষক পদের ১১টিই খালি। ১৮৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী প্রায় ৬০০ জন।

হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ আলফাজ উদ্দিন বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে। কোনো শিক্ষক বদলি হলে পদ পূরণ না করায় এ শূন্যতা তৈরি হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হবিগঞ্জে ৬ সরকারি বিদ্যালয়ে ১১৬ শিক্ষক পদ শূন্য

আপডেট : ০১:৫৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১
হবিগঞ্জের বনিয়াচং সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন মাত্র ৩ জন। প্রধান শিক্ষক বা সহকারী প্রধান কেউই নেই। এমনকি ইংরেজি, সামাজিক বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, ভূগোলসহ কোনো বিষয়েরই শিক্ষক নেই। এমন ভয়াবহ শিক্ষক সংকট নিয়েই চলছে ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়।

শুধু এ বিদ্যালয়ই নয়, হবিগঞ্জের ৬টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছে এমন শিক্ষক সংকট। কোনো বিদ্যালয়েই নেই প্রধান শিক্ষক। ৬টি বিদ্যালয়ের মোট ২০৪টি শিক্ষক পদের মধ্যে ১১৬টি শূন্য।

বছরের পর বছর শিক্ষকের অভাবে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। গত মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটে পাঠানো শূন্য পদের তালিকা থেকে শিক্ষক সংকটের এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ৫২টি পদের বিপরীতে সিনিয়র ও সহকারী মিলিয়ে কর্মরত আছেন ২৬ জন। ভূগোল, চারুকলা ও কৃষি বিষয়ে কোনো শিক্ষক নেই। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, ধর্ম, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও শারীরিকসহ ১৯ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এ স্কুলে মোট ১ হাজার ৫৩৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

হবিগঞ্জ বিকেজিসি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ মোট ৫২টি পদের মধ্যে ২৩টি পদ শূন্য। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৮৯১ জন ছাত্রী রয়েছে।

১৮৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বানিয়াচং উপজেলার এলআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫ জন শিক্ষকের মধ্যে আছেন মাত্র ৬ জন। বাকি ১৯টি পদ শূন্য।

১৮৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত চুনারুঘাট উপজেলার রাজার বাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫ শিক্ষকের বিপরীতে আছেন ১০ জন।

মাধবপুর উপজেলার গোবিন্দপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫ শিক্ষক পদের ১১টিই খালি। ১৮৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী প্রায় ৬০০ জন।

হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ আলফাজ উদ্দিন বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে। কোনো শিক্ষক বদলি হলে পদ পূরণ না করায় এ শূন্যতা তৈরি হয়েছে।