ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধান শিক্ষকের গ্রামে ৬ তলা বাড়ি, ঢাকায় প্লট-ফ্ল্যাট!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১
  • / 160
গ্রামের বাড়িতে করেছেন ৬তলা বাড়ি। ঢাকায় কিনেছেন একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লট। মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছেন মো. মোকাররম হোসেন। তিনি ওই স্কুলেরই সহকারী প্রধান শিক্ষক।

দুদকে করা অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের পুরাতন যত আসবাবপত্র, বেঞ্চ, লোহা-লক্কড়, আসবাবপত্র, পরীক্ষার খাতাপত্র, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে মাত্র পাঁচটি কক্ষ বিশিষ্ট একতলা একটি ভবনের নির্মাণ খরচ এক কোটি পঁয়ত্রিশ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিদ্যালয়ে যোগদানের পর কয়েক বছরে সিলিকন সিটিতে একটি প্লট, মধু সিটিতে একটি প্লট, ঢাকা উদ্যানে পঁয়ত্রিশ লাখ টাকায় একটি ফ্ল্যাট এবং তার গ্রামে যৌথভাবে একটি ছয়তলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় এক থেকে তিনের মধ্যে না থাকলেও তাকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে উচ্চ ডিগ্রির সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।

দুদকের অভিযোগসূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষকের একক স্বেচ্ছাচারিতা, অযোগ্যতা এবং ভয়াবহ রকমের দুর্নীতির কারণে বিদ্যালয়টি আজ প্রায় ধ্বংসের মুখে। দেলোয়ার হোসেনের ব্যাপক দুরভিসন্ধির দুর্নীতিতে শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে, তার সঙ্গে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে আগের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়টি একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষা বিস্তার ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ছিল। তবে মো. দেলোয়ার হোসেন সরকার প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকে ঐতিহ্যবাহী স্কুলটির সুনাম নষ্ট হতে শুরু করে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন সরকার বলেন, তার বিরুদ্ধে দেয়া সবগুলো অভিযোগই মিথ্যা। যেগুলো তিনি অভিযোগ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন এগুলো সবই পূর্বের মীমাংসিত বিষয়। তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রধান শিক্ষকের গ্রামে ৬ তলা বাড়ি, ঢাকায় প্লট-ফ্ল্যাট!

আপডেট : ১২:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১
গ্রামের বাড়িতে করেছেন ৬তলা বাড়ি। ঢাকায় কিনেছেন একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লট। মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছেন মো. মোকাররম হোসেন। তিনি ওই স্কুলেরই সহকারী প্রধান শিক্ষক।

দুদকে করা অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের পুরাতন যত আসবাবপত্র, বেঞ্চ, লোহা-লক্কড়, আসবাবপত্র, পরীক্ষার খাতাপত্র, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে মাত্র পাঁচটি কক্ষ বিশিষ্ট একতলা একটি ভবনের নির্মাণ খরচ এক কোটি পঁয়ত্রিশ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিদ্যালয়ে যোগদানের পর কয়েক বছরে সিলিকন সিটিতে একটি প্লট, মধু সিটিতে একটি প্লট, ঢাকা উদ্যানে পঁয়ত্রিশ লাখ টাকায় একটি ফ্ল্যাট এবং তার গ্রামে যৌথভাবে একটি ছয়তলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় এক থেকে তিনের মধ্যে না থাকলেও তাকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে উচ্চ ডিগ্রির সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।

দুদকের অভিযোগসূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষকের একক স্বেচ্ছাচারিতা, অযোগ্যতা এবং ভয়াবহ রকমের দুর্নীতির কারণে বিদ্যালয়টি আজ প্রায় ধ্বংসের মুখে। দেলোয়ার হোসেনের ব্যাপক দুরভিসন্ধির দুর্নীতিতে শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে, তার সঙ্গে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে আগের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়টি একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষা বিস্তার ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ছিল। তবে মো. দেলোয়ার হোসেন সরকার প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকে ঐতিহ্যবাহী স্কুলটির সুনাম নষ্ট হতে শুরু করে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন সরকার বলেন, তার বিরুদ্ধে দেয়া সবগুলো অভিযোগই মিথ্যা। যেগুলো তিনি অভিযোগ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন এগুলো সবই পূর্বের মীমাংসিত বিষয়। তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।