ঈদে রাজধানী ছেড়ে গেল জবি শিক্ষার্থীদের ২৩টি বিশেষ বাস
- আপডেট : ১২:৫৯:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
- / 204
::তৌফিকুর রহমান, জবি::
ঢাকা থেকে শিক্ষার্থীদের ঈদে বাড়ি পৌঁছে দিতে দেশের বিভাগীয় শহরে বিশেষ বাস সার্ভিস দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আজ শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৯ টায় রংপুরে ৯টি, রাজশাহীতে ১০টি ও সিলেট বিভাগের উদ্দেশ্যে ৪টি বাস মিলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ২৩ টি বাস ছেড়ে গেছে। বাস ছেড়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, প্রক্টরিয়ার বডি, পরিবহণ প্রশাসক ও ছাত্র কল্যাণের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
এদিন সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরতে ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করে। গেটে তাদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে ক্যাম্পাসে ঢুকানো হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি সবাইকে আবেদনের তালিকার সাথে আইডিকার্ড ও ছাত্রত্বের প্রমাণ দেখে নিজ নিজ জেলার বাসে সিট নিশ্চিত করেন। বাস ছেড়ে যাওয়ার সময় অধিকাংশ বাসে সিট ফাঁকা ছিল।
এসময় প্রক্টরিয়াল বডিকে সার্বিক সহযোগিতা করে ছাত্রলীগের সম্মেলন কমিটির আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম টিটন, যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিন, সৈয়দ শাকিলসহ ছাত্রলীগের নেতারাকর্মীরা।
বাসে বগুড়ায় যাওয়ার সময় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহ আলম বলেন, বাসে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। অবশেষে যেতে পারছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু বান্ধব ও ক্যাম্পাসের এতোজন একসাথে যাচ্ছি বলে সত্যিই ঈদ ঈদ মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
অন্যদিকে রংপুর যাওয়ার সময় শিক্ষার্থী প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে সবাই একসাথে যেতে পারছি খুবই ভালো লাগছে। দীর্ঘ ভ্রমণ হলেও সবাই মিলে আড্ডা দিতে দিতে যেতে পারব। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের প্রশাসক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আজ তিন বিভাগে শিক্ষার্থীদের বাস গেছে। মোট ১৫শ শিক্ষার্থী আবেদন করলেও নয়শ জনের মতো শিক্ষার্থী বাসে গেছে। অনেক বাসে সিট ফাঁকা ছিল। আগামি দুইদিনে বাকি বিভাগে বাস যাবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা সকাল থেকেই চেষ্টা করেছি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুশৃঙ্খলভাবে যেন বাসে তোলা যায়। এছাড়া বিভিন্ন থানায় কথা বলা হয়েছে যেন আমাদের শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছাতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সার্ভিস সম্পর্কে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, ঈদের আগে বাস ট্রেনের টিকিট পাওয়া কষ্ট। এছাড়া করোনার কথা ভেবে আমরা শিক্ষার্থীদের বাস দিয়েছি। তারা যেন বাসায় গিয়ে নিরাপদে থাকে বলে দিয়েছি।