ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনলাইন শিক্ষায় মূল্যায়ন যথাযথভাবে করার আহ্বান ইউজিসি সদস্যের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৩৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১
  • / 99
অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন যথাযথভাবে করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষায় অনলাইনে পাঠদানের মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যায়ন। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন যেন সঠিক হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। মূল্যয়ন নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন দেখা দিলে অনলাইন শিক্ষার অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে তিনি মনে করেন।

বুধবার (২৫ আগস্ট ২০২১) রাতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ভার্চুয়াল স্পিকার প্রোগাম অন অনলাইন অ্যাসেসমেন্টস স্ট্রাটেজিস’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থীরা যাতে পড়াশোনা থেকে দূরে সরে না যায় এবং বড় রকমের সেশনজটে না পড়ে সেজন্যে ইউজিসি শর্তসাপেক্ষে অনলাইন শিক্ষার অনুমোদন দিয়েছে। অনলাইন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে শিক্ষার্থীদের ডিভাইস, ইন্টারনেটের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে দেশের উচ্চশিক্ষা খাতকে এগিয়ে নিতে হবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, ইউজিসি ও আমেরিকান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবাই অনলাইন শিক্ষার মূল্যায়ন, চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের কৌশল জানার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ করতে পারবে।

অনুষ্ঠানে “অ্যাসেসিং লার্নিং অনলাইন: অবজেকটিভ অ্যাসেসমেন্টস এন্ড এড্রেসিং চিটিং” শীর্ষক মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকো’র অর্গানাইজেশন, ইনফরমেশন অ্যান্ড লার্নিং সায়েন্সেস- এর সহযোগী অধ্যাপক ড. স্টেফানি এল মুর।

ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সংস্কৃতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রায়হানা সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার প্রফেসর শন ম্যাকেনতশ, ইউজিসি’র আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূইয়া যুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দেশের দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অনলাইন শিক্ষায় মূল্যায়ন যথাযথভাবে করার আহ্বান ইউজিসি সদস্যের

আপডেট : ১১:৩৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১
অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন যথাযথভাবে করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষায় অনলাইনে পাঠদানের মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যায়ন। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন যেন সঠিক হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। মূল্যয়ন নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন দেখা দিলে অনলাইন শিক্ষার অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে তিনি মনে করেন।

বুধবার (২৫ আগস্ট ২০২১) রাতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ভার্চুয়াল স্পিকার প্রোগাম অন অনলাইন অ্যাসেসমেন্টস স্ট্রাটেজিস’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থীরা যাতে পড়াশোনা থেকে দূরে সরে না যায় এবং বড় রকমের সেশনজটে না পড়ে সেজন্যে ইউজিসি শর্তসাপেক্ষে অনলাইন শিক্ষার অনুমোদন দিয়েছে। অনলাইন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে শিক্ষার্থীদের ডিভাইস, ইন্টারনেটের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে দেশের উচ্চশিক্ষা খাতকে এগিয়ে নিতে হবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, ইউজিসি ও আমেরিকান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবাই অনলাইন শিক্ষার মূল্যায়ন, চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের কৌশল জানার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ করতে পারবে।

অনুষ্ঠানে “অ্যাসেসিং লার্নিং অনলাইন: অবজেকটিভ অ্যাসেসমেন্টস এন্ড এড্রেসিং চিটিং” শীর্ষক মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকো’র অর্গানাইজেশন, ইনফরমেশন অ্যান্ড লার্নিং সায়েন্সেস- এর সহযোগী অধ্যাপক ড. স্টেফানি এল মুর।

ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সংস্কৃতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রায়হানা সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার প্রফেসর শন ম্যাকেনতশ, ইউজিসি’র আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূইয়া যুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দেশের দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।