শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী কি না জানতে চেয়ে নির্দেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:০৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 154
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী আছে কি না তা যাছাই করতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সচিবালয়ে রোববার বিকেলে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘এবার আমরা দেখছি সংক্রমণের হার দ্রুত কমছে। অভিজ্ঞতা বলছে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সংক্রমণের হার কম থাকে। আর টিকা কার্যক্রম যে গতিতে চলছে সে বিবেচনায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করব।’

ছাত্র-শিক্ষক সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হতে হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরা ছাড়া কেউ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষার্থী, শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সকলের মাস্ক পরতে হবে। একেবারে কমবয়সী যারা, তাদের কোনো সংকট হচ্ছে কি না তা শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে।’ ‘যারা ২০২১ সালে এসএসসি-এইচএসসি আর আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী তারা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৭ মাস যেহেতু শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ছিল না, তাই চার ঘণ্টা, পাঁচ ঘণ্টা করে ক্লাস নেয়া হবে। তারপর ধীরে ধীরে ক্লাসের সময়সূচি স্বাভাবিক করা হবে। বাকি সব শ্রেণিতে একদিন করে ক্লাস হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, কারো বাড়িতে কারো মধ্যে যদি করোনাভাইরাস উপসর্গ থাকে তার ক্লাসে আসার দরকার নেই। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হাওয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি হবে না।

যাদের বয়স ১২ বছর তাদেরকেও ভ্যাকসিনেশনের আওতায় নিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘টিকা প্রাপ্তি ও কারিগরি ব্যবস্থাপনা শেষ হলে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘জেএসসি, পিএসসি সব পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি আছে। এ বিষয়েও সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী কি না জানতে চেয়ে নির্দেশ

আপডেট : ০১:০৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী আছে কি না তা যাছাই করতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সচিবালয়ে রোববার বিকেলে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘এবার আমরা দেখছি সংক্রমণের হার দ্রুত কমছে। অভিজ্ঞতা বলছে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সংক্রমণের হার কম থাকে। আর টিকা কার্যক্রম যে গতিতে চলছে সে বিবেচনায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করব।’

ছাত্র-শিক্ষক সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হতে হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরা ছাড়া কেউ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষার্থী, শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সকলের মাস্ক পরতে হবে। একেবারে কমবয়সী যারা, তাদের কোনো সংকট হচ্ছে কি না তা শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে।’ ‘যারা ২০২১ সালে এসএসসি-এইচএসসি আর আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী তারা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৭ মাস যেহেতু শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ছিল না, তাই চার ঘণ্টা, পাঁচ ঘণ্টা করে ক্লাস নেয়া হবে। তারপর ধীরে ধীরে ক্লাসের সময়সূচি স্বাভাবিক করা হবে। বাকি সব শ্রেণিতে একদিন করে ক্লাস হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, কারো বাড়িতে কারো মধ্যে যদি করোনাভাইরাস উপসর্গ থাকে তার ক্লাসে আসার দরকার নেই। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হাওয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি হবে না।

যাদের বয়স ১২ বছর তাদেরকেও ভ্যাকসিনেশনের আওতায় নিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘টিকা প্রাপ্তি ও কারিগরি ব্যবস্থাপনা শেষ হলে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘জেএসসি, পিএসসি সব পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি আছে। এ বিষয়েও সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি।