ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অধিগ্রহন না করেই সাঘাটায় কৃষি জমিতে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৫৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১
  • / 89

অধিগ্রহন না করেই গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চিনিরপটল গ্রামে কৃষি জমিতে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে গত ১২ আগষ্ট গাইবান্ধা জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে অভিযোগ দায়েরের পৌনে দুই মাস পেরিয়ে গেলেও নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চিনিরপটল গ্রামের বাসিন্দা নরেশ চন্দ্র্র বর্মণ, অচিন্ত কুমার বর্মণ ও রনজিৎ কুমার বর্মণ পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৮ দশমিক ৬০ বিঘা জমি ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু জমি অধিগ্রহন না করেই তাদের সাড়ে চার বিঘা জমি থেকে মাটি কেটে তাদেরই জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এই রাস্তা নির্মাণের কাজ চালাচ্ছেন। এতে তাদের কৃষি জমি নষ্ট হয়ে গেছে ও ভবিষ্যতে এই তিন ভাইয়ের পরিবার আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হবে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এই রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ করাসহ ওই ইউপি চেয়ারম্যান যাতে এই প্রকল্পের টাকা তুলতে না পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে অনুরোধ করা হয়েছে জেলা প্রশাসককে।

রাস্তা তৈরির বিষয়ে সাঘাটা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সুত্র জানায়, জাইকা প্রকল্পের অর্থায়নে ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই রাস্তা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। নরসিংদীর শান্তা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেলেও তা বাস্তবায়ন করছেন ঘুড়িদহ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।

অভিযোগকারী রনজিৎ কুমার বর্মণ বলেন, আমাদের তিন ভাইয়ের জমিতে ১৯৬২ ও ১৯৯৪ সালের মাঠজরিপে কোন রাস্তা নেই। তারপরও জমি অধিগ্রহন না করেই জোড়পূর্বক আমাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগ দায়েরের একমাস একুশদিন পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমরা চাই মাটি ভরাট করে আমাদের জমি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওই গ্রামে আগে থেকেই ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা ছিল। বন্যা ও বৃষ্টিতে রাস্তাটি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তাই জনগণের চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

এদিকে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিনকে দেওয়া অভিযোগটি সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে অবহিত করার জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর সাঘাটা উপজেলা সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অধিগ্রহন না করেই সাঘাটায় কৃষি জমিতে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

আপডেট : ১১:৫৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১

অধিগ্রহন না করেই গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চিনিরপটল গ্রামে কৃষি জমিতে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে গত ১২ আগষ্ট গাইবান্ধা জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে অভিযোগ দায়েরের পৌনে দুই মাস পেরিয়ে গেলেও নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চিনিরপটল গ্রামের বাসিন্দা নরেশ চন্দ্র্র বর্মণ, অচিন্ত কুমার বর্মণ ও রনজিৎ কুমার বর্মণ পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৮ দশমিক ৬০ বিঘা জমি ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু জমি অধিগ্রহন না করেই তাদের সাড়ে চার বিঘা জমি থেকে মাটি কেটে তাদেরই জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এই রাস্তা নির্মাণের কাজ চালাচ্ছেন। এতে তাদের কৃষি জমি নষ্ট হয়ে গেছে ও ভবিষ্যতে এই তিন ভাইয়ের পরিবার আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হবে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এই রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ করাসহ ওই ইউপি চেয়ারম্যান যাতে এই প্রকল্পের টাকা তুলতে না পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে অনুরোধ করা হয়েছে জেলা প্রশাসককে।

রাস্তা তৈরির বিষয়ে সাঘাটা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সুত্র জানায়, জাইকা প্রকল্পের অর্থায়নে ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই রাস্তা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। নরসিংদীর শান্তা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেলেও তা বাস্তবায়ন করছেন ঘুড়িদহ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।

অভিযোগকারী রনজিৎ কুমার বর্মণ বলেন, আমাদের তিন ভাইয়ের জমিতে ১৯৬২ ও ১৯৯৪ সালের মাঠজরিপে কোন রাস্তা নেই। তারপরও জমি অধিগ্রহন না করেই জোড়পূর্বক আমাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগ দায়েরের একমাস একুশদিন পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমরা চাই মাটি ভরাট করে আমাদের জমি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওই গ্রামে আগে থেকেই ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা ছিল। বন্যা ও বৃষ্টিতে রাস্তাটি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তাই জনগণের চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

এদিকে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিনকে দেওয়া অভিযোগটি সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে অবহিত করার জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর সাঘাটা উপজেলা সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।