ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
  • / 87
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে খালিয়াজুরী উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বয়রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খাজিলিয়াজুরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহতরা হলেন, বয়রা গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলো আইবুল মিয়া (৫০), তার স্ত্রীর আবেদা আক্তার (৪০) ও মেয়ে পিংকি আক্তার (২৫)।

ওসি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বরাদ্দ পাওয়া নির্মাণাধীন ঘরে আইবুল মিয়া পানি দিয়ে আসছিলেন। বুধবার দুপুরে তিনি ঘরে পানি দিতে গেলে সেখানে ছিঁড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে অসাবধানতাবশত জড়িয়ে যান।

এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী আবেদাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তখন মা ও বাবাকে বাঁচাতে গেলে পিংকীও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

তিনি বলেন, এ সময় পিংকীর কোলে তার ১৮ মাসের মেয়ে তাসছিম আক্তার ছিল। শিশুটি বিদ্যুৎস্পর্শের সময় তার মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে গিয়ে আহত হয়।

পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের চিকিৎসক প্রসেনজিৎ দাস বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত শিশুটির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু

আপডেট : ০১:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে খালিয়াজুরী উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বয়রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খাজিলিয়াজুরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহতরা হলেন, বয়রা গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলো আইবুল মিয়া (৫০), তার স্ত্রীর আবেদা আক্তার (৪০) ও মেয়ে পিংকি আক্তার (২৫)।

ওসি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বরাদ্দ পাওয়া নির্মাণাধীন ঘরে আইবুল মিয়া পানি দিয়ে আসছিলেন। বুধবার দুপুরে তিনি ঘরে পানি দিতে গেলে সেখানে ছিঁড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে অসাবধানতাবশত জড়িয়ে যান।

এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী আবেদাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তখন মা ও বাবাকে বাঁচাতে গেলে পিংকীও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

তিনি বলেন, এ সময় পিংকীর কোলে তার ১৮ মাসের মেয়ে তাসছিম আক্তার ছিল। শিশুটি বিদ্যুৎস্পর্শের সময় তার মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে গিয়ে আহত হয়।

পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের চিকিৎসক প্রসেনজিৎ দাস বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত শিশুটির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।