ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশীয় অস্ত্রসহ আরসা’র পাঁচ সদস্য আটক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১১ অক্টোবর ২০২১
  • / 86
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সোমবার ভোর রাতে আরসা বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এসময় তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

৮ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার ভোর রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১৬ ব্লকে এ অভিযান চালানো হয়।

আটককৃতরা হলো উখিয়ার বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মুক্তার আহাম্মদ (৫০) ও তার ছেলে ওমর ফারুক (১৯) এবং একই ক্যাম্পের নুর আলমের ছেলে মোহাম্মদ সলিম (৩৮), লিয়াকত আলীর ছেলে মোহাম্মদ আরাফাত (২৫) ও সৈয়দ হোসেনের ছেলে মনসুর আলম (২৫)।

এপিবিএন জানিয়েছে, আটকদের মধ্যে সলিম, ওমর ফারক ও মুক্তার কথিত আরসা বাহিনীর নেতা ডা. ওয়াক্কাস ওরফে নুর কলিমের ঘনিষ্ঠ সহচর ও সংগঠনটির সদস্য। এছাড়া মোহাম্মদ আরাফাত কথিত আরসা বাহিনীর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং মনসুর আলম চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।

পুলিশ সুপার সিহাব কায়সার বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এপিবিএন বিশেষ অভিযান (ব্লক রেইড) অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এপিবিএন এর একটি বিশেষ দল রোববার রাত থেকে সোমবার ভোররাত পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাম্পে অভিযান চালায়। অভিযানের এক পর্যায়ে এপিবিএন খবর পায় বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১৬ ব্লকের কাঁচাবাজার সংলগ্ন এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্য কতিপয় সশস্ত্র লোকজন অবস্থান করছে। এতে তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় এপিবিএন অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে এপিবিএন এর উপস্থিতি টের পেয়ে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া করে ৫ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও ৫/৭ জন পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে, ৬ টি কাঠের বাটযুক্ত ধারালো দা, ২ টি কাঠের বাটযুক্ত ছোরা ও ৮ টি লোহার তৈরি বিশেষ ধরনের ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। 

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিহাব কায়সার জানান, আটকরা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কথিত আরসা বাহিনীর সদস্য। তারা (আটকরা ) আরসার নাম ব্যবহার করে চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদকপাচার ও মানবপাচারসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এসব অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলাও রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসলেই আরসা আছে, নাকি সংগঠনটির নাম ব্যবহার করে নানা অপরাধ করা হচ্ছে, এ ব্যাপারে এপিবিএন খোঁজ-খবর নিচ্ছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দেশীয় অস্ত্রসহ আরসা’র পাঁচ সদস্য আটক

আপডেট : ০১:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১১ অক্টোবর ২০২১
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সোমবার ভোর রাতে আরসা বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এসময় তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

৮ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার ভোর রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১৬ ব্লকে এ অভিযান চালানো হয়।

আটককৃতরা হলো উখিয়ার বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মুক্তার আহাম্মদ (৫০) ও তার ছেলে ওমর ফারুক (১৯) এবং একই ক্যাম্পের নুর আলমের ছেলে মোহাম্মদ সলিম (৩৮), লিয়াকত আলীর ছেলে মোহাম্মদ আরাফাত (২৫) ও সৈয়দ হোসেনের ছেলে মনসুর আলম (২৫)।

এপিবিএন জানিয়েছে, আটকদের মধ্যে সলিম, ওমর ফারক ও মুক্তার কথিত আরসা বাহিনীর নেতা ডা. ওয়াক্কাস ওরফে নুর কলিমের ঘনিষ্ঠ সহচর ও সংগঠনটির সদস্য। এছাড়া মোহাম্মদ আরাফাত কথিত আরসা বাহিনীর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং মনসুর আলম চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।

পুলিশ সুপার সিহাব কায়সার বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এপিবিএন বিশেষ অভিযান (ব্লক রেইড) অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এপিবিএন এর একটি বিশেষ দল রোববার রাত থেকে সোমবার ভোররাত পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাম্পে অভিযান চালায়। অভিযানের এক পর্যায়ে এপিবিএন খবর পায় বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১৬ ব্লকের কাঁচাবাজার সংলগ্ন এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্য কতিপয় সশস্ত্র লোকজন অবস্থান করছে। এতে তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় এপিবিএন অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে এপিবিএন এর উপস্থিতি টের পেয়ে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া করে ৫ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও ৫/৭ জন পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে, ৬ টি কাঠের বাটযুক্ত ধারালো দা, ২ টি কাঠের বাটযুক্ত ছোরা ও ৮ টি লোহার তৈরি বিশেষ ধরনের ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। 

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিহাব কায়সার জানান, আটকরা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কথিত আরসা বাহিনীর সদস্য। তারা (আটকরা ) আরসার নাম ব্যবহার করে চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদকপাচার ও মানবপাচারসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এসব অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলাও রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসলেই আরসা আছে, নাকি সংগঠনটির নাম ব্যবহার করে নানা অপরাধ করা হচ্ছে, এ ব্যাপারে এপিবিএন খোঁজ-খবর নিচ্ছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।