ঢাকা ০২:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীর ডিসি-এসপির অপসারণ চান রানা দাশগুপ্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
  • / 149
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে নোয়াখালীর ডিসি ও এসপির অপসারণ দাবি করেছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।

আজ রোববার দুপুরে চৌমুহনীতে হামলা-ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি মন্দির পরিদর্শন শেষে এ দাবি জানান তিনি।

এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ এ জাতীয় আইনের আওতায় সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে চিহ্নিত করে তাদের অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এই নেতা।

তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর কথায় তারা আশ্বস্ত হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ছাড় দেয়া হবে না। তখন তারা ভেবেছিলেন, হয়তো এই সাম্প্রদায়িক হামলা আর ঘটবে না। কিন্তু তারা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করলেন, পরদিনই চৌমুহনীতে, চট্টগ্রামে হামলা ও তাণ্ডবলীলা চালানো হলো।

এ বিষয়ে সরকার ও প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আবেদন জানিয়ে রানা দাশগুপ্ত বলেন, নোয়াখালীর ঘটনার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নোয়াখালীর ডিসি ও এসপির অনতিবিলম্বে অপসারণ দাবি করছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও মন্দিরগুলো পুনরায় নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।

মন্দির পরিদর্শনকালে রানা দাশগুপ্তের সঙ্গে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নোয়াখালী জেলা সভাপতি বিনয় কিশোর রায়, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কিশোর চন্দ্র শীল, যুব ঐক্য পরিষদ নোয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ সূত্রধর, সদস্য সচিব পাপ্পু সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক জয় ভূঁইয়া, গৌতম সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নোয়াখালীর ডিসি-এসপির অপসারণ চান রানা দাশগুপ্ত

আপডেট : ০১:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে নোয়াখালীর ডিসি ও এসপির অপসারণ দাবি করেছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।

আজ রোববার দুপুরে চৌমুহনীতে হামলা-ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি মন্দির পরিদর্শন শেষে এ দাবি জানান তিনি।

এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ এ জাতীয় আইনের আওতায় সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে চিহ্নিত করে তাদের অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এই নেতা।

তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর কথায় তারা আশ্বস্ত হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ছাড় দেয়া হবে না। তখন তারা ভেবেছিলেন, হয়তো এই সাম্প্রদায়িক হামলা আর ঘটবে না। কিন্তু তারা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করলেন, পরদিনই চৌমুহনীতে, চট্টগ্রামে হামলা ও তাণ্ডবলীলা চালানো হলো।

এ বিষয়ে সরকার ও প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আবেদন জানিয়ে রানা দাশগুপ্ত বলেন, নোয়াখালীর ঘটনার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নোয়াখালীর ডিসি ও এসপির অনতিবিলম্বে অপসারণ দাবি করছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও মন্দিরগুলো পুনরায় নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।

মন্দির পরিদর্শনকালে রানা দাশগুপ্তের সঙ্গে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নোয়াখালী জেলা সভাপতি বিনয় কিশোর রায়, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কিশোর চন্দ্র শীল, যুব ঐক্য পরিষদ নোয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ সূত্রধর, সদস্য সচিব পাপ্পু সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক জয় ভূঁইয়া, গৌতম সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।