গৌরনদীতে রাস্তা পেল শতাধিক পরিবার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৩:২০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১
  • / 191

সংগৃহীত ছবি।

::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের বাঘার ও বাটাজোর ইউনিয়নের জয়শুরকাঠি গ্রামের শতাধিক পরিবার বিলের মধ্যে বসতবাড়ি নির্মাণ করে ২০০ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলো।

শুকনো মৌসুমে পরিবারগুলোর যাতায়াতের পথ ছিলো জমির আইল আর বর্ষার মধ্যে যাতায়াত করতে হতো ডিঙি নৌকা, তালের ডোঙ্গা কিংবা ভেলায় চড়ে।

শুকনো মৌসুমে পরিবারগুলোর যাতায়াতের পথ ছিলো জমির আইল আর বর্ষার মধ্যে যাতায়াত করতে হতো ডিঙি নৌকা, তালের ডোঙ্গা কিংবা ভেলায় চড়ে। যাতায়াতের আধুনিকতা না থাকায় ওইসব পরিবারকে সামাজিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধও করতে হয়েছে। তাই একটি মাটির রাস্তাই ছিলো তাদের স্বপ্ন।

অবশেষে দেড় কিলোমিটার মাটির রাস্তা নির্মাণ করে ২০০ বছর পর বিলের ওই পরিবারগুলোর স্বপ্নপূরণ করা হয়েছে।

বাঘার গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তাদের পূর্ব-পুরুষরা গত ২০০ বছর আগে বাঘার বিলের মধ্যে বসতি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলো। যাতায়াতের জন্য তাদের ছিলো না কোনো রাস্তা। এমনকি বিলের মধ্যে দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা কষ্টকর হওয়ায় কোনো জনপ্রতিনিধিই এতদিন এগিয়ে আসেনি।

সম্প্রতি এলাকাবাসী মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর কাছে বিলের মধ্যে দিয়ে রাস্তা নির্মাণৈর দাবি করেন। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০০ বছর পর দেড় কিলোমিটারের মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়।

মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু জানান, তার ইউনিয়নের বাঘার গ্রামের ও পার্শ্ববর্তী বাটাজোর ইউনিয়নের জয়শুরকাঠী গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার দীর্ঘ ২০০ বছরের অধিককাল ধরে বিলের মধ্যে বসবাস করে আসছে। পরিবারগুলো দুই গ্রামের মূল সড়ক থেকে বিছিন্ন ছিলো। তাই ওই পরিবারগুলোকে গ্রামের মূল সড়কের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির অনুপ্রেরণায় রাস্তা নির্মাণ শুরু করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে মাটির রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গৌরনদীতে রাস্তা পেল শতাধিক পরিবার

আপডেট : ০৩:২০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১
::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের বাঘার ও বাটাজোর ইউনিয়নের জয়শুরকাঠি গ্রামের শতাধিক পরিবার বিলের মধ্যে বসতবাড়ি নির্মাণ করে ২০০ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলো।

শুকনো মৌসুমে পরিবারগুলোর যাতায়াতের পথ ছিলো জমির আইল আর বর্ষার মধ্যে যাতায়াত করতে হতো ডিঙি নৌকা, তালের ডোঙ্গা কিংবা ভেলায় চড়ে।

শুকনো মৌসুমে পরিবারগুলোর যাতায়াতের পথ ছিলো জমির আইল আর বর্ষার মধ্যে যাতায়াত করতে হতো ডিঙি নৌকা, তালের ডোঙ্গা কিংবা ভেলায় চড়ে। যাতায়াতের আধুনিকতা না থাকায় ওইসব পরিবারকে সামাজিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধও করতে হয়েছে। তাই একটি মাটির রাস্তাই ছিলো তাদের স্বপ্ন।

অবশেষে দেড় কিলোমিটার মাটির রাস্তা নির্মাণ করে ২০০ বছর পর বিলের ওই পরিবারগুলোর স্বপ্নপূরণ করা হয়েছে।

বাঘার গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তাদের পূর্ব-পুরুষরা গত ২০০ বছর আগে বাঘার বিলের মধ্যে বসতি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলো। যাতায়াতের জন্য তাদের ছিলো না কোনো রাস্তা। এমনকি বিলের মধ্যে দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা কষ্টকর হওয়ায় কোনো জনপ্রতিনিধিই এতদিন এগিয়ে আসেনি।

সম্প্রতি এলাকাবাসী মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর কাছে বিলের মধ্যে দিয়ে রাস্তা নির্মাণৈর দাবি করেন। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০০ বছর পর দেড় কিলোমিটারের মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়।

মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু জানান, তার ইউনিয়নের বাঘার গ্রামের ও পার্শ্ববর্তী বাটাজোর ইউনিয়নের জয়শুরকাঠী গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার দীর্ঘ ২০০ বছরের অধিককাল ধরে বিলের মধ্যে বসবাস করে আসছে। পরিবারগুলো দুই গ্রামের মূল সড়ক থেকে বিছিন্ন ছিলো। তাই ওই পরিবারগুলোকে গ্রামের মূল সড়কের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির অনুপ্রেরণায় রাস্তা নির্মাণ শুরু করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে মাটির রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।