যুবলীগ নেতা হত্যায় ৮ জনের যাবজ্জীবন
- আপডেট : ০১:৫০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
- / 81
একইসাথে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। আরেকটি বিস্ফোরক আইনের মামলায় প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
দণ্ডিতরা হলেন, সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের শান্তি হোসে ন,দইঝুড়ি গ্রামের আব্দুল করিম, লাভলু, কাশিমপুর গ্রামের আবু জাহিদ মনি, চোরকোল গ্রামের মিজানুর রহমান ওরফে টাক মিজান, হাজীডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিম খলিল ওরফে ইদ্রিস ওরফে ইদু, মুকুল ও জালালপুর গ্রামের নাসির।
এ মামলায় অপর আসামি গান্না ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিথার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মামলা চলাকালীন মশিয়ার রহমান ও উজ্জল হোসেন মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ জুলাই গান্না বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন তৎকালীন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন মন্ডল ওরফে শান্তি মন্ডল। পথে কাশিমনগর ব্রিজের ওপর পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। সেখান থেকে তাকে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১১ জুলাই সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম মালিথা বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক ধারায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ১১ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করে। এর মধ্যে গান্না ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিথাও ছিলেন।
মামলা চলাকালে আটককৃত আসামিদের মধ্যে ৩ জন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। চেয়ারম্যান নাসির ছিলেন ১৫৪ ধারায় আসামিদের জবানবন্দির আসামি। মোট ১৯ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ বিচারিক পক্রিয়া শেষে আদালত সোমবার এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন।