ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীর মন্দিরে হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:০৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১
  • / 96
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে মন্দিরে-মণ্ডপে হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতাসহ আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল বারী চৌধুরী (৪৫), পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্যসচিব বেলায়েত হোসেন (২৬), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফয়সাল ইনাম কমল (৩৯), বীজবাগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ (৪৮), জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রায়হান (৩৮), বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাউদ্দিন (২৮), ফজলুল করিম সুমন (৩২), আবদুল বাকী শামীম, কোম্পানীগঞ্জের মিন্টু (২৩), চাটখিলের পারভেজ হোসেন (২৯) ও সোনাইমুড়ীর আব্দুল বারেক (৫৫)।

গত ১৬ অক্টোবর নোয়াখালীর চৌমুহনীতে মন্দিরে-মণ্ডপে হামলা-ভাংচুরের সময় ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে’ একজনের মৃত্যুর পরদিন পুকুর থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার বলেন, নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় মোট ২৬টি মামলা হয়। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ১৯২ জনকে। তাদের মধ্যে এজাহারে রয়েছে ৯০ আসামির নাম। ১০২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্দেহভাজন হিসেবে।

বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।

আবদুর রহমান আরও বলেন, “আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে ঘটনা ঘটলেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এখন নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল কারার উদ্দেশ্যে আমাদের দলের নিরপরাধ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে।”

গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে জেলা বিএনপি মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সংম্মেলন আহ্বান করেছে বলে জানান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নোয়াখালীর মন্দিরে হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১

আপডেট : ০২:০৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে মন্দিরে-মণ্ডপে হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতাসহ আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল বারী চৌধুরী (৪৫), পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্যসচিব বেলায়েত হোসেন (২৬), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফয়সাল ইনাম কমল (৩৯), বীজবাগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ (৪৮), জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রায়হান (৩৮), বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাউদ্দিন (২৮), ফজলুল করিম সুমন (৩২), আবদুল বাকী শামীম, কোম্পানীগঞ্জের মিন্টু (২৩), চাটখিলের পারভেজ হোসেন (২৯) ও সোনাইমুড়ীর আব্দুল বারেক (৫৫)।

গত ১৬ অক্টোবর নোয়াখালীর চৌমুহনীতে মন্দিরে-মণ্ডপে হামলা-ভাংচুরের সময় ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে’ একজনের মৃত্যুর পরদিন পুকুর থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার বলেন, নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় মোট ২৬টি মামলা হয়। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ১৯২ জনকে। তাদের মধ্যে এজাহারে রয়েছে ৯০ আসামির নাম। ১০২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্দেহভাজন হিসেবে।

বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।

আবদুর রহমান আরও বলেন, “আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে ঘটনা ঘটলেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এখন নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল কারার উদ্দেশ্যে আমাদের দলের নিরপরাধ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে।”

গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে জেলা বিএনপি মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সংম্মেলন আহ্বান করেছে বলে জানান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।