ঢাকা ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাকে পিটিয়ে হত্যা, ছেলের মৃত্যুদণ্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৩১:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১
  • / 124
গাইবান্ধা সদরের শিবপুর গ্রামে মাকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা মামলায় দায়ে ছেলে জিয়াউল হককে (৫০) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দীলিপ কুমার ভৌমিক এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ জুন বিকালে সদর উপজেলার শিবপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম খন্দকারের ছেলে জিয়াউল হক তার ছোট ভাই জোবায়ের খন্দকারের কাছে টাকা চায়। জোবায়ের টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাকে মারধর করে জিয়াউল। এ সময় তার বৃদ্ধা মা জোহুরা বেগম বাধা দিলে তাকে ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে জিয়াউল। এতে গুরুতর আহত হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতেই মারা যান জোহুরা বেগম। এ ঘটনায় পরদিন জিয়াউলের বাবা নুরুল ইসলাম খন্দকার বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এই মামলায় রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ প্রিন্স বলেন, মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারক আজ এ রায় দেন। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আমি সন্তুষ্ট। জিয়াউল খন্দকার বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছে বলেও তিনি জানান।

অপরদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মাসুদার রহমান বিশ্বাস বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মাকে পিটিয়ে হত্যা, ছেলের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট : ১১:৩১:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১
গাইবান্ধা সদরের শিবপুর গ্রামে মাকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা মামলায় দায়ে ছেলে জিয়াউল হককে (৫০) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দীলিপ কুমার ভৌমিক এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ জুন বিকালে সদর উপজেলার শিবপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম খন্দকারের ছেলে জিয়াউল হক তার ছোট ভাই জোবায়ের খন্দকারের কাছে টাকা চায়। জোবায়ের টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাকে মারধর করে জিয়াউল। এ সময় তার বৃদ্ধা মা জোহুরা বেগম বাধা দিলে তাকে ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে জিয়াউল। এতে গুরুতর আহত হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতেই মারা যান জোহুরা বেগম। এ ঘটনায় পরদিন জিয়াউলের বাবা নুরুল ইসলাম খন্দকার বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এই মামলায় রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ প্রিন্স বলেন, মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারক আজ এ রায় দেন। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আমি সন্তুষ্ট। জিয়াউল খন্দকার বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছে বলেও তিনি জানান।

অপরদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মাসুদার রহমান বিশ্বাস বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।