দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গ্রেপ্তার প্রদীপ রায়কে শনিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

গত ১৮ অক্টোবর বিকালে দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের পাশের উদির হাওর জলমহালের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ওই গ্রামের আমেরিকাপ্রবাসী কাজল নূর পক্ষের রুহেদ মিয়া (৪০) মারা যান। আহত হয় আরও ২০ জন।

অভিযোগ আছে, স্থানীয় একটি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে ওই জলমহালটি ইজারা নিলেও এর পেছনে রয়েছেন প্রদীপ। তিনিই এটি নিয়ন্ত্রণ করেন। ভাটিপাড়া গ্রামে তার পক্ষে নেতৃত্ব দেন শাহ আলম। সংঘর্ষে নিহত রুহেদ সম্পর্কে নূরের চাচাতো ভাই। ঘটনার পাঁচদিন পর নিহত রুহেদের ভাই সুহেদ মিয়া প্রদীপসহ ৭৩ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, এই মামলায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া মামলার ৩২ জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

দিরাই থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, ‘মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, এ মামলা ছাড়াও প্রদীপ রায় আরেকটি হত্যা মামলার আসামি। ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি দিরাই উপজেলার জারলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় প্রদীপ রায়, দিরাই পৌরসভার তৎকালীন মেয়র মোশাররফ মিয়া, দিরাই উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদারসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় প্রদীপ রায় জামিনে ছিলেন।