ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাসানচরে জাতিসংঘের দুই সংস্থার প্রতিনিধি দল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৪৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ১ নভেম্বর ২০২১
  • / 108
মানবিক সহায়তা শুরুর অংশ হিসেবে ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে গেছে জাতিসংঘের দুই সংস্থার ২১ সদস্যের একটি যৌথ প্রতিনিধি দল।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কর্মকর্তারা রয়েছেন এই দলে।

সোমবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার শাহ মো. রেজোয়ান হায়াত জানান, সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে তারা ভাসানচরে যান।

তিনি বলেন, ভাসানচরে কার্যক্রম শুরুর প্রাথমিক কাজ হিসেবে জাতিসংঘের টিমটি সেখানে গেল। সেখানে তারা কয়েকদিন অবস্থান করবেন।

জাতিসংঘ শুরুতে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে স্থানান্তরের বিরোধিতা করলেও সেই অবস্থান বদলে সম্প্রতি ভাসানচরে শরণার্থীদের জন্য কাজ শুরু করতে সম্মত হয়। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে গত ৯ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক চুক্তিও করে ইউএনএইচসিআর।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন বলেছিলেন, জাতিসংঘের সংস্থাসমূহের মাধ্যমে কক্সবাজারের মত ভাসানচরেও মানবিক সহায়তা পরিচালিত হবে। বেসামরিক প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ভাসানচরে বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআরের যৌথ উদ্যোগে রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি, সুপেয় পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, চিকিৎসা, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং জীবিকার ব্যবস্থা করা হবে। সরকার যে কাজটি এতদিন কাই করে আসছিল।

ভাসানচরে বসবাসরত রোহিঙ্গা এবং জাতিসংঘ, সহযোগী সংস্থা ও দে-বিদেশি এনজিওকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে বাংলাদেশ সরকার।

ভাসানচর প্রকল্পের উপ-পরিচালক কমান্ডার আনোয়ারুল কবির বলেন, সকাল সাড়ে ৯টায় ইউএসএইচসিআর ও ডব্লিওএফপির ২১ সদস্যের দলটি নৌবাহিনীর জাহাজ ডলফিনে করে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। দুপুর নাগাদ তারা সেখানে পৌঁছায়।

তিনি বলেন, প্রতিনিধি দলটি সেখানে প্রাথমিকভাবে তিন দিন থাকবে। ভাসানচরে সাপ্লাই চেইন কীরকম হবে, তাদের অফিস, স্টোরেজ এবং মানবিক কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়ে তারা কাজ করবেন। এছাড়া রোহিঙ্গাদের সাথেও কথা বলতে পারেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। চলাচলের সুবিধার জন্য প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি যানবাহনও জাহাজে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মিয়ানমারে দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে রয়েছে। ২০১৭ সালে তার সঙ্গে যোগ হয় আরও ৭ লাখ রোহিঙ্গা।

কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে ১১ লাখ রোহিঙ্গার সহাতায় জাতিসংঘ কাজ করে যাচ্ছিল। তবে কক্সবাজারের উপর চাপ কমাতে বাংলাদেশ সরকার যখন রোহিঙ্গাদের একাংশকে নোয়াখালীর জনবিরল দ্বীপ ভাসানচরে নেয়ার উদ্যোগ নেয়, তাতে শুরুতে বিরোধিতা করে বিশ্ব সংস্থাটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভাসানচরে জাতিসংঘের দুই সংস্থার প্রতিনিধি দল

আপডেট : ১১:৪৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ১ নভেম্বর ২০২১
মানবিক সহায়তা শুরুর অংশ হিসেবে ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে গেছে জাতিসংঘের দুই সংস্থার ২১ সদস্যের একটি যৌথ প্রতিনিধি দল।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কর্মকর্তারা রয়েছেন এই দলে।

সোমবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার শাহ মো. রেজোয়ান হায়াত জানান, সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে তারা ভাসানচরে যান।

তিনি বলেন, ভাসানচরে কার্যক্রম শুরুর প্রাথমিক কাজ হিসেবে জাতিসংঘের টিমটি সেখানে গেল। সেখানে তারা কয়েকদিন অবস্থান করবেন।

জাতিসংঘ শুরুতে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে স্থানান্তরের বিরোধিতা করলেও সেই অবস্থান বদলে সম্প্রতি ভাসানচরে শরণার্থীদের জন্য কাজ শুরু করতে সম্মত হয়। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে গত ৯ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক চুক্তিও করে ইউএনএইচসিআর।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন বলেছিলেন, জাতিসংঘের সংস্থাসমূহের মাধ্যমে কক্সবাজারের মত ভাসানচরেও মানবিক সহায়তা পরিচালিত হবে। বেসামরিক প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ভাসানচরে বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআরের যৌথ উদ্যোগে রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি, সুপেয় পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, চিকিৎসা, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং জীবিকার ব্যবস্থা করা হবে। সরকার যে কাজটি এতদিন কাই করে আসছিল।

ভাসানচরে বসবাসরত রোহিঙ্গা এবং জাতিসংঘ, সহযোগী সংস্থা ও দে-বিদেশি এনজিওকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে বাংলাদেশ সরকার।

ভাসানচর প্রকল্পের উপ-পরিচালক কমান্ডার আনোয়ারুল কবির বলেন, সকাল সাড়ে ৯টায় ইউএসএইচসিআর ও ডব্লিওএফপির ২১ সদস্যের দলটি নৌবাহিনীর জাহাজ ডলফিনে করে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। দুপুর নাগাদ তারা সেখানে পৌঁছায়।

তিনি বলেন, প্রতিনিধি দলটি সেখানে প্রাথমিকভাবে তিন দিন থাকবে। ভাসানচরে সাপ্লাই চেইন কীরকম হবে, তাদের অফিস, স্টোরেজ এবং মানবিক কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়ে তারা কাজ করবেন। এছাড়া রোহিঙ্গাদের সাথেও কথা বলতে পারেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। চলাচলের সুবিধার জন্য প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি যানবাহনও জাহাজে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মিয়ানমারে দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে রয়েছে। ২০১৭ সালে তার সঙ্গে যোগ হয় আরও ৭ লাখ রোহিঙ্গা।

কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে ১১ লাখ রোহিঙ্গার সহাতায় জাতিসংঘ কাজ করে যাচ্ছিল। তবে কক্সবাজারের উপর চাপ কমাতে বাংলাদেশ সরকার যখন রোহিঙ্গাদের একাংশকে নোয়াখালীর জনবিরল দ্বীপ ভাসানচরে নেয়ার উদ্যোগ নেয়, তাতে শুরুতে বিরোধিতা করে বিশ্ব সংস্থাটি।