ঢাকা ০৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়ায় পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের নিত্য ভোগান্তি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
  • / 99
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের দীর্ঘ সারি এবং চালক ও তার সহকারীদের ভোগান্তি কিছুতেই কমছে না। বুধবারও সকালেও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়ায় প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার অংশে অপচনশীল পণ্য বহনকারী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।

এছাড়া ঢাকা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কেও অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক এবং কাভার্ডভ্যানের প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমটার যানজট দেখা যায়।

মূলত ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে যানবাহনের চাপ কামনোর জন্য এবং এই মহাসড়কের যানহবাহনের গতি ঠিক রাখতেই ঢাকা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাক এবং কাভার্ড ভ্যানগুলোকো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।

পদ্মায় নাব্যতা সংকট, প্রচণ্ড স্রোত এবং পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ থাকায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের এ দীর্ঘ সারি বলে জানিয়েছেন ঘাট কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া শাখা ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় সব মিলিয়ে এখন ১৭ ফেরি চলাচল করছে। যানজট নিরসনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে, গাড়ির চাপ বেশি থাকায় আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, যাত্রীবাহী বাস ও পচনশীল পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক এবং ব্যক্তিগত গাড়িগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারপার করা হচ্ছে।

ঢাকা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা এক কাভার্ড ভ্যানচালক জানান,‘২ দিন আগে এসেছি। এখনো পাড় হতে পারিনি। এ দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে একদিকে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয় অন্যদিকে আমাদের খরচও বেড়ে যায়। এছাড়াও সময় মতো মাল ডেলিভারি দিতে না পারলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।

ট্রাকচালক বুলবুল জানান, যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ির সাথে আমাদের একটা দুটো করে ট্রাক ছাড়লে এতো কষ্ট করতে হতো না। এখানে খাওয়া, গোসল ও শৌচাগারের কোনো ব্যাবস্থা নেই। এ কারণে আমাদের দিনের পর দিন কষ্ট করতে হয়। কিন্তু দেখার কেউ নেই।’

সাতক্ষীরা থেকে আসা কাভার্ডভ্যানের চালক জসিম শিকদার বলেন, ‘কয়দিন এমন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা যায়। আমাদেরকে কেউ মানুষ বলেই মনে করে না। তিনি আরও বলেন, ‘আগে আপনাদের দেখলে অভিযোগ করতাম,ভাবতাম হয়তো কষ্ট কিছুটা কমবে। কিন্তু এখন আর বলতেও ইচ্ছা করে না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দৌলতদিয়ায় পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের নিত্য ভোগান্তি

আপডেট : ১১:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের দীর্ঘ সারি এবং চালক ও তার সহকারীদের ভোগান্তি কিছুতেই কমছে না। বুধবারও সকালেও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়ায় প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার অংশে অপচনশীল পণ্য বহনকারী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।

এছাড়া ঢাকা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কেও অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক এবং কাভার্ডভ্যানের প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমটার যানজট দেখা যায়।

মূলত ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে যানবাহনের চাপ কামনোর জন্য এবং এই মহাসড়কের যানহবাহনের গতি ঠিক রাখতেই ঢাকা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাক এবং কাভার্ড ভ্যানগুলোকো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।

পদ্মায় নাব্যতা সংকট, প্রচণ্ড স্রোত এবং পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ থাকায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের এ দীর্ঘ সারি বলে জানিয়েছেন ঘাট কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া শাখা ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় সব মিলিয়ে এখন ১৭ ফেরি চলাচল করছে। যানজট নিরসনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে, গাড়ির চাপ বেশি থাকায় আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, যাত্রীবাহী বাস ও পচনশীল পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক এবং ব্যক্তিগত গাড়িগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারপার করা হচ্ছে।

ঢাকা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা এক কাভার্ড ভ্যানচালক জানান,‘২ দিন আগে এসেছি। এখনো পাড় হতে পারিনি। এ দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে একদিকে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয় অন্যদিকে আমাদের খরচও বেড়ে যায়। এছাড়াও সময় মতো মাল ডেলিভারি দিতে না পারলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।

ট্রাকচালক বুলবুল জানান, যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ির সাথে আমাদের একটা দুটো করে ট্রাক ছাড়লে এতো কষ্ট করতে হতো না। এখানে খাওয়া, গোসল ও শৌচাগারের কোনো ব্যাবস্থা নেই। এ কারণে আমাদের দিনের পর দিন কষ্ট করতে হয়। কিন্তু দেখার কেউ নেই।’

সাতক্ষীরা থেকে আসা কাভার্ডভ্যানের চালক জসিম শিকদার বলেন, ‘কয়দিন এমন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা যায়। আমাদেরকে কেউ মানুষ বলেই মনে করে না। তিনি আরও বলেন, ‘আগে আপনাদের দেখলে অভিযোগ করতাম,ভাবতাম হয়তো কষ্ট কিছুটা কমবে। কিন্তু এখন আর বলতেও ইচ্ছা করে না।’