ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় হত্যা মামলায় ৮ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৫৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১
  • / 179
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে এক কৃষককে হত্যা মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৮ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলায় ৭ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক আসামিদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্তদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

দণ্ডিতরা হল- নজরুল ইসলম লেবু, আবদুর রউফ, জালাল উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, শাহলম, ফারুক মিয়া, মিজানুর রহমান ও আবু তালেব ওরফে গাওরা। তাদের বাড়ি পলাশবাড়ি উপজেলায়।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি এ্যাড ফারুক আহমেদ প্রিন্স। অপর দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাড সিরাজুল ইসলাম বাবু এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে পলাশবাড়ী উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের একটি কলেজের কমিটিকে কেন্দ্র করে ওই কলেজের অধ্যাপক মো. আব্দুলের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম লেবুর বিরোধ দেখা দেয়। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নজরুলের লোকজন আব্দুলের ওপর হামলা চালায়।

এ সময় পাশের সুইগ্রামের কৃষক হাসান আলী আব্দুলকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তিনিও আহত হন। পরে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় হাসানের বড় ভাই আবুল কাশেম ওই বছরের ২৪ আগস্ট পলাশবাড়ি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১০ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে ২০০০ সালের ৩১ মে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পলাশবাড়ি থানা পুলিশ। চলতি বছর ৩ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গাইবান্ধায় হত্যা মামলায় ৮ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

আপডেট : ১১:৫৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে এক কৃষককে হত্যা মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৮ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলায় ৭ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক আসামিদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্তদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

দণ্ডিতরা হল- নজরুল ইসলম লেবু, আবদুর রউফ, জালাল উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, শাহলম, ফারুক মিয়া, মিজানুর রহমান ও আবু তালেব ওরফে গাওরা। তাদের বাড়ি পলাশবাড়ি উপজেলায়।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি এ্যাড ফারুক আহমেদ প্রিন্স। অপর দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাড সিরাজুল ইসলাম বাবু এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে পলাশবাড়ী উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের একটি কলেজের কমিটিকে কেন্দ্র করে ওই কলেজের অধ্যাপক মো. আব্দুলের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম লেবুর বিরোধ দেখা দেয়। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নজরুলের লোকজন আব্দুলের ওপর হামলা চালায়।

এ সময় পাশের সুইগ্রামের কৃষক হাসান আলী আব্দুলকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তিনিও আহত হন। পরে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় হাসানের বড় ভাই আবুল কাশেম ওই বছরের ২৪ আগস্ট পলাশবাড়ি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১০ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে ২০০০ সালের ৩১ মে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পলাশবাড়ি থানা পুলিশ। চলতি বছর ৩ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।