ঢাকা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিজ ঘরে ঝুলছিল বাবা ও সন্তানের মরদেহ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:০৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১
  • / 83
নেত্রকোনায় নিজ ঘর থেকে আবদুল কাইয়ুম (৩২) ও তার দুই বছরের ছেলে আহনাব শাকিলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রকোনা পৌরসভার নাগড়া এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, সন্তানকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পরে নিজেও আত্মহত্যা করেন আবদুল কাইয়ুম।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত আবদুল কাইয়ুম কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরেখামার গ্রামের আক্কাস সরদারের ছেলে।

তিনি নেত্রকোনায় নাগরা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে চাকরি করার সুবা‌ধে পৌর সভার নাগড়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার স্মৃতি সড়কের রুহুল আমীনের বাসার চতুর্থ তলায় গত প্রায় সাত বছর ধরে ভাড়া থাকতেন।

মৃতের স্ত্রী সালমা আক্তার জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতের খাবার খেয়ে একটার দিকে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় উঠে পাশের রুমে স্বামী ও সন্তানের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে তিনি স্বামী ও সন্তানের লাশ নামিয়ে ফেলেন। সকালে বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান।

এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দি‌লে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে সন্তানকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পরে আবদুল কাইয়ুম নিজেও আত্মহত্যা করেন।

ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নিজ ঘরে ঝুলছিল বাবা ও সন্তানের মরদেহ

আপডেট : ১২:০৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১
নেত্রকোনায় নিজ ঘর থেকে আবদুল কাইয়ুম (৩২) ও তার দুই বছরের ছেলে আহনাব শাকিলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রকোনা পৌরসভার নাগড়া এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, সন্তানকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পরে নিজেও আত্মহত্যা করেন আবদুল কাইয়ুম।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত আবদুল কাইয়ুম কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরেখামার গ্রামের আক্কাস সরদারের ছেলে।

তিনি নেত্রকোনায় নাগরা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে চাকরি করার সুবা‌ধে পৌর সভার নাগড়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার স্মৃতি সড়কের রুহুল আমীনের বাসার চতুর্থ তলায় গত প্রায় সাত বছর ধরে ভাড়া থাকতেন।

মৃতের স্ত্রী সালমা আক্তার জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতের খাবার খেয়ে একটার দিকে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় উঠে পাশের রুমে স্বামী ও সন্তানের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে তিনি স্বামী ও সন্তানের লাশ নামিয়ে ফেলেন। সকালে বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান।

এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দি‌লে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে সন্তানকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পরে আবদুল কাইয়ুম নিজেও আত্মহত্যা করেন।

ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।