ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার : জাহাঙ্গির মল্লিক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:১১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
  • / 117

বরগুনার এসপির তৎপরতায়, আইনি শাসন ও মানবতায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে বরগুনার সাধারণ মানুষ, উন্নয়ন হয়েছে জেলা পুলিশের বিভিন্ন অবকাঠামোর, এছাড়াও বরগুনা পুলিশ সুপার মুহম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক চলমান কোভিড-১৯ সংকটময় মুহূর্তে জীবন বাজি রেখে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তারই প্রতিফলন হিসেবে বরগুনা জেলা পুলিশের মানবিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন বরগুনার সুশীল সমাজের ব্যক্তি ও সচেতন মহল।

পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গির মল্লিক গণমাধ্যমকে জানান, কোভিড সংকটকালে বাংলাদেশ পুলিশের মৌলিক দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রম সর্বমহলে বিশেষভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। পুলিশের ভাবমূর্তিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। পুলিশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষে বাংলাদেশ পুলিশকেও উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ হিসেবে তৈরি হতে হবে।

তিনি বলেন, দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে প্রথমে পুলিশকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। এ বিষয়ে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইজিপি মহোদয়ের জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে এবং বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান এর দিক নির্দেশনা মূলক পরামর্শে এসপি বলেন, পুলিশ সদস্যরা কোন ভাবেই কোন ধরনের দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত হতে পারবে না। পুলিশের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মাদক বর্তমান যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের যুব সমাজকে এই মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে হবে। উন্নত বাংলাদেশ বির্নিমানে যুব সমাজকে সুশিক্ষা ও কারিগরি দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মাদক নির্মূলে তিনি সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।

মাদক নিমূলের বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, মাদকের সাথে পুলিশের কোন সদস্যের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তিনি যার যার থানা এলাকা মাদক মুক্ত করার আল্টিমেটাম প্রদান করেন।

পুলিশকে জনসাধারনের সাথে মানবিক আচরণ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুলিশকে জনগণের পুলিশ হতে বলেছেন। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে এ দেশের জনসাধারনকে সেবা দিতে হবে।

ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি)-কে উল্লেখ করে জাহাঙ্গির মল্লিক বলেন, মানুষকে কোন রকম নির্যাতন ও নিপীড়ন করা যাবে না। মানুষকে নির্মোহভাবে ভালবাসতে হবে, সকল অবস্থায় মানুষের পাশে থেকে মানুষকে সেবা দিতে হবে। এমন কি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে বিধিবহির্ভূত আচরণ করা যাবে না।

পুলিশকে পেশাদারিত্বের সাথে অপরাধ দমন ও প্রতিরোধ করতে হবে। পুলিশী সেবা জনগনের দোড় গোড়ায় পৌছে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ মহোদয়ের নির্দেশনায় বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশী সেবাকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌছে দিতে হবে।

এ লক্ষে প্রতিটি ইউনিয়নকে একটি বিটের আওতায় এনে আইন-শৃংখলা রক্ষা, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণ করা সহ মানুষের পাশে থেকে সেবা প্রদান করতে হবে। এ বিষয় তিনি পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, পুলিশের দ্রুত উপস্থিতি পারে মানুষের জান-মাল রক্ষা করতে।তদুপরি চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করেন এসপি মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার : জাহাঙ্গির মল্লিক

আপডেট : ০২:১১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

বরগুনার এসপির তৎপরতায়, আইনি শাসন ও মানবতায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে বরগুনার সাধারণ মানুষ, উন্নয়ন হয়েছে জেলা পুলিশের বিভিন্ন অবকাঠামোর, এছাড়াও বরগুনা পুলিশ সুপার মুহম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক চলমান কোভিড-১৯ সংকটময় মুহূর্তে জীবন বাজি রেখে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তারই প্রতিফলন হিসেবে বরগুনা জেলা পুলিশের মানবিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন বরগুনার সুশীল সমাজের ব্যক্তি ও সচেতন মহল।

পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গির মল্লিক গণমাধ্যমকে জানান, কোভিড সংকটকালে বাংলাদেশ পুলিশের মৌলিক দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রম সর্বমহলে বিশেষভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। পুলিশের ভাবমূর্তিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। পুলিশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষে বাংলাদেশ পুলিশকেও উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ হিসেবে তৈরি হতে হবে।

তিনি বলেন, দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে প্রথমে পুলিশকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। এ বিষয়ে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইজিপি মহোদয়ের জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে এবং বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান এর দিক নির্দেশনা মূলক পরামর্শে এসপি বলেন, পুলিশ সদস্যরা কোন ভাবেই কোন ধরনের দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত হতে পারবে না। পুলিশের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মাদক বর্তমান যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের যুব সমাজকে এই মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে হবে। উন্নত বাংলাদেশ বির্নিমানে যুব সমাজকে সুশিক্ষা ও কারিগরি দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মাদক নির্মূলে তিনি সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।

মাদক নিমূলের বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, মাদকের সাথে পুলিশের কোন সদস্যের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তিনি যার যার থানা এলাকা মাদক মুক্ত করার আল্টিমেটাম প্রদান করেন।

পুলিশকে জনসাধারনের সাথে মানবিক আচরণ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুলিশকে জনগণের পুলিশ হতে বলেছেন। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে এ দেশের জনসাধারনকে সেবা দিতে হবে।

ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি)-কে উল্লেখ করে জাহাঙ্গির মল্লিক বলেন, মানুষকে কোন রকম নির্যাতন ও নিপীড়ন করা যাবে না। মানুষকে নির্মোহভাবে ভালবাসতে হবে, সকল অবস্থায় মানুষের পাশে থেকে মানুষকে সেবা দিতে হবে। এমন কি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে বিধিবহির্ভূত আচরণ করা যাবে না।

পুলিশকে পেশাদারিত্বের সাথে অপরাধ দমন ও প্রতিরোধ করতে হবে। পুলিশী সেবা জনগনের দোড় গোড়ায় পৌছে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ মহোদয়ের নির্দেশনায় বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশী সেবাকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌছে দিতে হবে।

এ লক্ষে প্রতিটি ইউনিয়নকে একটি বিটের আওতায় এনে আইন-শৃংখলা রক্ষা, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণ করা সহ মানুষের পাশে থেকে সেবা প্রদান করতে হবে। এ বিষয় তিনি পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, পুলিশের দ্রুত উপস্থিতি পারে মানুষের জান-মাল রক্ষা করতে।তদুপরি চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করেন এসপি মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক।