ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের ৪৭ নেতাকর্মী বহিষ্কার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
  • / 82
টাঙ্গাইলের মধুপুরের মির্জাবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৪৭ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মহসিনুল কবির। বহিষ্কার হওয়া নেতাদের মধ্যে মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আজহারুল ইসলামও রয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি ও সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবু স্বাক্ষরিত এক আদেশপত্রে তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় তাদের বহিষ্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জানা যায়, উপজেলার আলোকদিয়া, গোলাবাড়ী ও মির্জাবাড়ী ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। ওই নির্বাচনে মির্জাবাড়ী থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দলীয় মনোনয়ন বোর্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলামকে নির্বাচন করে। দলীয় এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী তালুকদার, জিয়াউল হক জামাল মাস্টার ও আজহারুল ইসলাম আজাহার মাস্টারও মনোনয়নপত্র জমা দেন।

পরে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে শাহজাহান আলী তালুকদার ও জিয়াউল হক জামাল মাস্টার ১১ নভেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। তবে মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম আজহার মাস্টার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় উপজেলা আওয়ামী লীগ তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। একইসঙ্গে আজহারুল ইসলামের নির্বাচনী কাজে সহযোগিতাকারী দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৪৪ জন নেতাকর্মীকেও বহিষ্কার করা হয়।

এর মধ্যে মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন সরকার, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার আলী এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আকেছ আলী খানসহ ১০ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

এছাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দু’জন সহ-সভাপতি তাহের আলী ও আশরাফ আলী, সাধারণ সম্পাদক ফরমান হোসেন ফরহাদসহ পাঁচজন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চারজন সহসভাপতি আজহার আলী, আব্দুল মোতালেব, হিরা মিয়া ও শাহজাহান আলী সাজুসহ ছয়জন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন সহসভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, মোহাম্মদ সানিসহ পাঁচজন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি জোয়াহের আলী, সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন ও তুলা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আকেছ আলী খানসহ ১০ জন।

৬ নম্বর ওয়ার্ডের সহস-ভাপতি আব্দুল জলিল। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল মিয়া ও কোষাধ্যক্ষ আবু তাহের। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সহসভাপতি আব্দুল গনি মিয়া এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বাদশা মিয়া, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়।

এছাড়া মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক শাহজাহান আলী সাজু ও যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া এবং কৃষক লীগের সভাপতি আইয়ুব আলীকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের ৪৭ নেতাকর্মী বহিষ্কার

আপডেট : ১২:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
টাঙ্গাইলের মধুপুরের মির্জাবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৪৭ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মহসিনুল কবির। বহিষ্কার হওয়া নেতাদের মধ্যে মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আজহারুল ইসলামও রয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি ও সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবু স্বাক্ষরিত এক আদেশপত্রে তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় তাদের বহিষ্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জানা যায়, উপজেলার আলোকদিয়া, গোলাবাড়ী ও মির্জাবাড়ী ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। ওই নির্বাচনে মির্জাবাড়ী থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দলীয় মনোনয়ন বোর্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলামকে নির্বাচন করে। দলীয় এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী তালুকদার, জিয়াউল হক জামাল মাস্টার ও আজহারুল ইসলাম আজাহার মাস্টারও মনোনয়নপত্র জমা দেন।

পরে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে শাহজাহান আলী তালুকদার ও জিয়াউল হক জামাল মাস্টার ১১ নভেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। তবে মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম আজহার মাস্টার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় উপজেলা আওয়ামী লীগ তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। একইসঙ্গে আজহারুল ইসলামের নির্বাচনী কাজে সহযোগিতাকারী দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৪৪ জন নেতাকর্মীকেও বহিষ্কার করা হয়।

এর মধ্যে মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন সরকার, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার আলী এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আকেছ আলী খানসহ ১০ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

এছাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দু’জন সহ-সভাপতি তাহের আলী ও আশরাফ আলী, সাধারণ সম্পাদক ফরমান হোসেন ফরহাদসহ পাঁচজন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চারজন সহসভাপতি আজহার আলী, আব্দুল মোতালেব, হিরা মিয়া ও শাহজাহান আলী সাজুসহ ছয়জন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন সহসভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, মোহাম্মদ সানিসহ পাঁচজন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি জোয়াহের আলী, সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন ও তুলা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আকেছ আলী খানসহ ১০ জন।

৬ নম্বর ওয়ার্ডের সহস-ভাপতি আব্দুল জলিল। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল মিয়া ও কোষাধ্যক্ষ আবু তাহের। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সহসভাপতি আব্দুল গনি মিয়া এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বাদশা মিয়া, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়।

এছাড়া মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক শাহজাহান আলী সাজু ও যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া এবং কৃষক লীগের সভাপতি আইয়ুব আলীকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।