ঢাকা ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের ২০ লাখ টাকা আর্তসাৎ সভাপতি-সম্পাদকসহ তিন মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:২১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 309

লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের ২০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আর্তসাৎ করেন অবাঞ্চিত সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল ও সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক।

এই ঘটনায় প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক মুক্তখবর এর জেলা প্রতিনিধি আহাম্মদ আলী বাদী হয়ে সভাপতি-সম্পাদকসহ তিনজনকে আসামী করে এই মামলা দায়ের করেন।মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রায়হান চৌধুরীর আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।

পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভিস্টিগেশন(পিবিআই) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।

মামলার আইনজীবি মাহাবুবুল করিম টিপু জানান, প্রেসক্লাবের টাকা আর্তসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দেন।

মামলা ও সাংবাদিক সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ইং সালে প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল ও সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একেক আধিপত্যা বিস্তার করে আসছিলেন।

এই ছাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদকের পদ ব্যবহার করে প্রেসক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বানিজ্য তদবির, ভূমিহীনদের ভূমি দখল ও সংখ্যালঘু নারীর ৩৩ লাখ টাকা আর্তসাৎ এবং চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডে তারা জড়িত রয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রেসক্লাবের বেশিরভাগ সদস্য এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় সিনিয়র সদস্যদের সাথে অশোভন আচরন,নাজেহাল, বহিস্কার মামলা-হামলার হুমকি দেয়া হয়।এসকল ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৮ নভেম্বর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের আহবায়ক,ভোরের কাগজ ও দেশটিভির প্রতিনিধি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিটিভি এবং আমাদের সময়ের প্রতিনিধি প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিরি সদস্য সচিব জহির উদ্দিনের সঞ্চালনায় এক বিশেষ সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভায় প্রেসক্লাবের টাকা আর্তসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম, দুনীর্তির দায়ে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এবং হিসাব কমিটির প্রধানকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন সদস্যরা।সম্প্রতি প্রেসক্লাবের ২৩ মাসের আয়-ব্যায়ের একটি হিসেব বিবরনী সদস্যদের মধ্যে দেয়া হয়।
সেখানে স্বাক্ষর করেন হিসেব কমিটির আহবায়ক মো. কাউছার,সদস্য আতোয়ার রহমান মনির ও নিজাম উদ্দিন। ওই হিসেব বিবরনীতে ১৬টি খাতের আয় দেখানো হয় ৩৮লাখ ৯২ হাজার ২শ ৮০ টাকা। আর ব্যায় দেখানো হয় ২৬টি খাতে ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৩শ ১০টাকা।

অথচ ২৬টি খাতের ১৪টি খাতে কোন ব্যায় প্রেসক্লাবে হয়নি।এসব খাতের প্রায় ২০ লাখ টাকা প্রতারনার মাধ্যমে তারা আর্তসাৎ করেন। কিন্তু প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যায় করেছেন।

প্রেসক্লাবের সাধারন সদস্যরা সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রেসক্লাবের টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের ২০ লাখ টাকা আর্তসাৎ সভাপতি-সম্পাদকসহ তিন মামলা

আপডেট : ০২:২১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১

লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের ২০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আর্তসাৎ করেন অবাঞ্চিত সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল ও সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক।

এই ঘটনায় প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক মুক্তখবর এর জেলা প্রতিনিধি আহাম্মদ আলী বাদী হয়ে সভাপতি-সম্পাদকসহ তিনজনকে আসামী করে এই মামলা দায়ের করেন।মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রায়হান চৌধুরীর আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।

পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভিস্টিগেশন(পিবিআই) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।

মামলার আইনজীবি মাহাবুবুল করিম টিপু জানান, প্রেসক্লাবের টাকা আর্তসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দেন।

মামলা ও সাংবাদিক সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ইং সালে প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল ও সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একেক আধিপত্যা বিস্তার করে আসছিলেন।

এই ছাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদকের পদ ব্যবহার করে প্রেসক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বানিজ্য তদবির, ভূমিহীনদের ভূমি দখল ও সংখ্যালঘু নারীর ৩৩ লাখ টাকা আর্তসাৎ এবং চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডে তারা জড়িত রয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রেসক্লাবের বেশিরভাগ সদস্য এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় সিনিয়র সদস্যদের সাথে অশোভন আচরন,নাজেহাল, বহিস্কার মামলা-হামলার হুমকি দেয়া হয়।এসকল ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৮ নভেম্বর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের আহবায়ক,ভোরের কাগজ ও দেশটিভির প্রতিনিধি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিটিভি এবং আমাদের সময়ের প্রতিনিধি প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিরি সদস্য সচিব জহির উদ্দিনের সঞ্চালনায় এক বিশেষ সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভায় প্রেসক্লাবের টাকা আর্তসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম, দুনীর্তির দায়ে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এবং হিসাব কমিটির প্রধানকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন সদস্যরা।সম্প্রতি প্রেসক্লাবের ২৩ মাসের আয়-ব্যায়ের একটি হিসেব বিবরনী সদস্যদের মধ্যে দেয়া হয়।
সেখানে স্বাক্ষর করেন হিসেব কমিটির আহবায়ক মো. কাউছার,সদস্য আতোয়ার রহমান মনির ও নিজাম উদ্দিন। ওই হিসেব বিবরনীতে ১৬টি খাতের আয় দেখানো হয় ৩৮লাখ ৯২ হাজার ২শ ৮০ টাকা। আর ব্যায় দেখানো হয় ২৬টি খাতে ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৩শ ১০টাকা।

অথচ ২৬টি খাতের ১৪টি খাতে কোন ব্যায় প্রেসক্লাবে হয়নি।এসব খাতের প্রায় ২০ লাখ টাকা প্রতারনার মাধ্যমে তারা আর্তসাৎ করেন। কিন্তু প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যায় করেছেন।

প্রেসক্লাবের সাধারন সদস্যরা সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রেসক্লাবের টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করেছে।