ঢাকা ০২:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফর অস্ত্র-গুলি-ককটেলসহ আটক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:১৭:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 105
যশোরের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফরকে (২৮) অস্ত্র-গুলি ও বোমাসহ আটক করেছে কোতয়ালি থানা পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে শহরের চাচঁড়া রায়পাড়ার আঞ্চলিক প্রাণিরোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের প্রধান গেটের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও দুইটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। জাফর শহরের শংকরপুর আশ্রম মাদ্রাসার পেছনে আব্দুল হান্নান মিয়া ওরফে তনু ওরফে টনুর ছেলে।

পুলিশ জানায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র, হত্যাসহ ২৭টি মামলা আছে কোতয়ালি থানায়। জাফরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তিনি তার সহযোগীদের নিয়ে যশোর শহর ও শহরতলীতে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করার জন্য অবৈধ অস্ত্র-গুলি ও বিস্ফোরকদ্রব্য সংগ্রহ করছিল।

এলাকায় জাফরসহ মেহেদি, আসিব, রুবেল, ফয়সাল, বাপ্পী, ভোলা, ট্যাটু সুমনসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, দাঙ্গা-হমাঙ্গা, চুরি, ছিনতাইসহ বহু অভিযোগ রয়েছে। রেলস্টেশন বাজার এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী, ট্রেনযাত্রী, হোটেল বোর্ডারসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গকে ফাঁদে ফেলে, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় ও ছিনতাই করেন তারা।

পুলিশ আরও জানায়, উল্লেখিতদের মধ্যে মেহেদি, জাফর ও রুবেলের অত্যাচারের মাত্রা বেশি। তাদের ভয়ে কেউ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করতে সাহস পায় না। জাফর ও মেহেদীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ব্ল্যাকমেইলসহ আরও বহু অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। তার ও তার দলবলে মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহেদি ও রুবেল এলাকায় একের পর এক অপরাধ করেই চলেছে।

মাস ছয়েক আগে অত্যাচারের শিকার রেল স্টেশনের ব্যবসীয়রা জাফরকে গণপিটুনি দেয়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। ফিরে এসে ফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জাড়িয়ে পড়েন বলেও জানায় পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফর অস্ত্র-গুলি-ককটেলসহ আটক

আপডেট : ০১:১৭:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
যশোরের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফরকে (২৮) অস্ত্র-গুলি ও বোমাসহ আটক করেছে কোতয়ালি থানা পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে শহরের চাচঁড়া রায়পাড়ার আঞ্চলিক প্রাণিরোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের প্রধান গেটের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও দুইটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। জাফর শহরের শংকরপুর আশ্রম মাদ্রাসার পেছনে আব্দুল হান্নান মিয়া ওরফে তনু ওরফে টনুর ছেলে।

পুলিশ জানায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র, হত্যাসহ ২৭টি মামলা আছে কোতয়ালি থানায়। জাফরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তিনি তার সহযোগীদের নিয়ে যশোর শহর ও শহরতলীতে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করার জন্য অবৈধ অস্ত্র-গুলি ও বিস্ফোরকদ্রব্য সংগ্রহ করছিল।

এলাকায় জাফরসহ মেহেদি, আসিব, রুবেল, ফয়সাল, বাপ্পী, ভোলা, ট্যাটু সুমনসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, দাঙ্গা-হমাঙ্গা, চুরি, ছিনতাইসহ বহু অভিযোগ রয়েছে। রেলস্টেশন বাজার এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী, ট্রেনযাত্রী, হোটেল বোর্ডারসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গকে ফাঁদে ফেলে, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় ও ছিনতাই করেন তারা।

পুলিশ আরও জানায়, উল্লেখিতদের মধ্যে মেহেদি, জাফর ও রুবেলের অত্যাচারের মাত্রা বেশি। তাদের ভয়ে কেউ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করতে সাহস পায় না। জাফর ও মেহেদীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ব্ল্যাকমেইলসহ আরও বহু অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। তার ও তার দলবলে মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহেদি ও রুবেল এলাকায় একের পর এক অপরাধ করেই চলেছে।

মাস ছয়েক আগে অত্যাচারের শিকার রেল স্টেশনের ব্যবসীয়রা জাফরকে গণপিটুনি দেয়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। ফিরে এসে ফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জাড়িয়ে পড়েন বলেও জানায় পুলিশ।