ঢাকা ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমছে যমুনার পানি, কমেনি বানভাসিদের দুর্ভোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০৫:২৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
  • / 120
যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার কমে শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার কমে ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। তবে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি এখনো বাড়ছে।

এছাড়া পানির স্রোতে জেলার চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার কয়েকটি স্থানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনরোধে কাজ করছে।

বন্যায় জেলার কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী- এ ৫টি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পরিবারের ৪১ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকায় ১৮৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হলেও মানুষ এখনো সেখানে ওঠেনি। কিছু মানুষ উঁচু স্থান ও বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। পানি ওঠায় বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট এবং স্যানিটেশনসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সদরের বিয়ারা এলাকায় মাটির রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় দুই শতাধিক পরিবারের মানুষ নৌকায় চলাচল করছে।

এছাড়াও বন্যা আক্রান্ত ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৬ হাজার ৯২ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট, বাদাম, তিল, কাউন, ধইঞ্চাসহ উঠতি ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৮ সেন্টিমিটার কমে শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এছাড়াও কাজিপুর পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার কমে ৫৬ সেন্টিমিটার প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান জানান, আমরা ইতোমধ্যেই ত্রাণ ও শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। জেলার চৌহালী উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ করা শুরু হয়েছে। এখন খুব দ্রুতই সবজায়গাতেই বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর এই ৫ উপজেলায় ইতিমধ্যেই ১৪০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্ধ দিয়েছি। ইতিমধ্যেই চৌহালীর জন্য ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও শিশু খাদ্যসহ অন্যান্য শুকনো খাবার মজুদ আছে।

তিনি আরও জানান, বন্যার্তদের জন্য ইতিমধ্যেই ৯১১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে থেকে ১৪০ মেট্রিক টন চাল, ৬ লাখ টাকা ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ শুরু করা হয়েছে। বাকিগুলো এখনও মজুদ আছে। পর্যায়ক্রমে এগুলোও বিতরণ করা হবে। প্রয়োজনে আরও চাহিদা দেয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কমছে যমুনার পানি, কমেনি বানভাসিদের দুর্ভোগ

আপডেট : ০৫:২৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার কমে শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার কমে ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। তবে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি এখনো বাড়ছে।

এছাড়া পানির স্রোতে জেলার চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার কয়েকটি স্থানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনরোধে কাজ করছে।

বন্যায় জেলার কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী- এ ৫টি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পরিবারের ৪১ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকায় ১৮৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হলেও মানুষ এখনো সেখানে ওঠেনি। কিছু মানুষ উঁচু স্থান ও বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। পানি ওঠায় বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট এবং স্যানিটেশনসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সদরের বিয়ারা এলাকায় মাটির রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় দুই শতাধিক পরিবারের মানুষ নৌকায় চলাচল করছে।

এছাড়াও বন্যা আক্রান্ত ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৬ হাজার ৯২ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট, বাদাম, তিল, কাউন, ধইঞ্চাসহ উঠতি ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৮ সেন্টিমিটার কমে শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এছাড়াও কাজিপুর পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার কমে ৫৬ সেন্টিমিটার প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান জানান, আমরা ইতোমধ্যেই ত্রাণ ও শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। জেলার চৌহালী উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ করা শুরু হয়েছে। এখন খুব দ্রুতই সবজায়গাতেই বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর এই ৫ উপজেলায় ইতিমধ্যেই ১৪০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্ধ দিয়েছি। ইতিমধ্যেই চৌহালীর জন্য ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও শিশু খাদ্যসহ অন্যান্য শুকনো খাবার মজুদ আছে।

তিনি আরও জানান, বন্যার্তদের জন্য ইতিমধ্যেই ৯১১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে থেকে ১৪০ মেট্রিক টন চাল, ৬ লাখ টাকা ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ শুরু করা হয়েছে। বাকিগুলো এখনও মজুদ আছে। পর্যায়ক্রমে এগুলোও বিতরণ করা হবে। প্রয়োজনে আরও চাহিদা দেয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।