গাইবান্ধায় ৫৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি, বন্ধ ১২৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- আপডেট : ০৫:৫০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
- / 158
এদিকে নদীর ভাঙনে শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। সবকিছু হারিয়ে পরিবার নিয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
বুধবার (২২ জুন) দুপুরে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ফয়েজ উদ্দিন বলেন, জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সদর উপজেলার ২৩ ইউনিয়নের ৫৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। এরই মধ্যে চার উপজেলায় বন্যার্তদের ৮০ টন চাল ও নগদ ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গো-খাদ্য বাবদ ১৬ লাখ টাকা ও শিশু খাদ্য বাবদ ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১১০ প্যাকেট শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে ফুলছড়ি উপজেলার রতনপুর, ডোবাপাড়া, কাঁটাতার, ভুষির ভিটা, ফুজলু, খাটিয়ামারি, বানিয়াপাড়া দেখায় যায় বন্যার ভয়াবহ দৃশ্য। এসব গ্রামের মধ্যে রতনপুর গ্রামের অন্তত দেড় শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তারা। ঘর বাড়ি হারিয়ে রাস্তায় মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেক পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ও গাইবান্ধা সদর পয়েন্টে ঘাঘটের পানি বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, বর্ষার শুরুতেই নদ-নদীতে যে পানি এসেছে ,তা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিপদসীমার নিচে নেমে যাবে। এরই মধ্যে নদীর পানি স্থির হয়েছে। এই আবহাওয়াতে বড় বন্যা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। তবে জুলাই মাসের শুরু বা মাঝামাঝি সময়ে ছোট বা মাঝারি বন্যা হতে পারে। জেলার বিভিন্ন বাঁধে মেরামতের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা নাই।