ঢাকা ০১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবাই ব্যস্ত ছবি-ভিডিও ধারণে, উদ্ধারে এগিয়ে এলো সমাজকর্মী মোস্তফা

মিরসরাই প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০৪:৪৭:০২ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
  • / 182

মিরসরাইয়ের সৌন্দর্য্যমন্ডিত খৈয়াছরা ঝর্ণা দেখে ফেরার পথে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর হতাহতদের উদ্ধারে তেমন কেউ এগিয়ে না এলেও ছবি-ভিডিও ধারণে অনেকেই ব্যস্ত ছিল। দুর্ঘটনাস্থলের পাশ থেকে দৌঁড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস থেকে একে একে মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় সমাজকর্মী খান মোহাম্মদ মোস্তফা। তিনি স্থানীয় সামাজিক সংগঠন স্বপ্নতরী-৭১ এর প্রতিষ্ঠাতা। তাকে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেন দুর্ঘটনার শিকার ট্রেনের দুই যাত্রী

খান মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থলের পাশে আমার বাড়ি। ঘটনার সময় রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। দেখি ট্রেনের ইঞ্জিনে একটি মাইক্রোবাস ঝুলছে। হতবিহ্বল হয়ে পড়ি আমি। দৌড়ে বড়তাকিয়া রেল স্টেশনের কাছাকাছি ঝিলিপুলে যাই। অনেককে ছবি-ভিডিও করতে দেখে চিৎকার শুরু করি। একাই উদ্ধার কাজ শুরু করি। একে একে সবাইকে বাইরে নিয়ে আসি। তখনও দুই জন জীবিত ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘জুমার নামাজের সময় হওয়ায় বড়তাকিয়া রেল স্টেশনে তেমন মানুষজন ছিলেন না। আমি পরিচিত এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে ফোন দেই। এরমধ্যে স্টেশনের ফরহাদ, ইরান, মিরাজ, ইমন, রিপন, ইমনসহ আরো কয়েকজনের সহযোগিতায় আহত দুই জনকে স্টেশনে নিয়ে রিকশার মাধ্যমে মিরসরাই সদরের সেবা আধুনিক হাসপাতালে পাঠাই।’

মোস্তফা বলেন, ‘ট্রেনের এক যাত্রী উদ্ধার কাজে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করছিলেন। পরে তিনি সেন্সলেস হয়ে পড়েন। আরো ক’জন ট্রেনের যাত্রী সাহায্য করে। অধিকাংশ মানুষ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছেন। অনুরোধ করার পরও এগিয়ে আসেননি।’

তিনি বলেন, ‘স্মৃতিগুলো আর নিতে পারছি না। কতটা ভয়াবহ না দেখলে বোঝা মুশকিল। টুরিস্ট স্পট, রেলক্রসিংসহ সব পাবলিক স্পটের নিরাপত্তায় আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত আমাদের। প্রতিটা ক্রসিংয়ে যাতে দক্ষ গেটম্যান থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সবাই ব্যস্ত ছবি-ভিডিও ধারণে, উদ্ধারে এগিয়ে এলো সমাজকর্মী মোস্তফা

আপডেট : ০৪:৪৭:০২ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৮ অগাস্ট ২০২২

মিরসরাইয়ের সৌন্দর্য্যমন্ডিত খৈয়াছরা ঝর্ণা দেখে ফেরার পথে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর হতাহতদের উদ্ধারে তেমন কেউ এগিয়ে না এলেও ছবি-ভিডিও ধারণে অনেকেই ব্যস্ত ছিল। দুর্ঘটনাস্থলের পাশ থেকে দৌঁড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস থেকে একে একে মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় সমাজকর্মী খান মোহাম্মদ মোস্তফা। তিনি স্থানীয় সামাজিক সংগঠন স্বপ্নতরী-৭১ এর প্রতিষ্ঠাতা। তাকে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেন দুর্ঘটনার শিকার ট্রেনের দুই যাত্রী

খান মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থলের পাশে আমার বাড়ি। ঘটনার সময় রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। দেখি ট্রেনের ইঞ্জিনে একটি মাইক্রোবাস ঝুলছে। হতবিহ্বল হয়ে পড়ি আমি। দৌড়ে বড়তাকিয়া রেল স্টেশনের কাছাকাছি ঝিলিপুলে যাই। অনেককে ছবি-ভিডিও করতে দেখে চিৎকার শুরু করি। একাই উদ্ধার কাজ শুরু করি। একে একে সবাইকে বাইরে নিয়ে আসি। তখনও দুই জন জীবিত ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘জুমার নামাজের সময় হওয়ায় বড়তাকিয়া রেল স্টেশনে তেমন মানুষজন ছিলেন না। আমি পরিচিত এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে ফোন দেই। এরমধ্যে স্টেশনের ফরহাদ, ইরান, মিরাজ, ইমন, রিপন, ইমনসহ আরো কয়েকজনের সহযোগিতায় আহত দুই জনকে স্টেশনে নিয়ে রিকশার মাধ্যমে মিরসরাই সদরের সেবা আধুনিক হাসপাতালে পাঠাই।’

মোস্তফা বলেন, ‘ট্রেনের এক যাত্রী উদ্ধার কাজে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করছিলেন। পরে তিনি সেন্সলেস হয়ে পড়েন। আরো ক’জন ট্রেনের যাত্রী সাহায্য করে। অধিকাংশ মানুষ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছেন। অনুরোধ করার পরও এগিয়ে আসেননি।’

তিনি বলেন, ‘স্মৃতিগুলো আর নিতে পারছি না। কতটা ভয়াবহ না দেখলে বোঝা মুশকিল। টুরিস্ট স্পট, রেলক্রসিংসহ সব পাবলিক স্পটের নিরাপত্তায় আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত আমাদের। প্রতিটা ক্রসিংয়ে যাতে দক্ষ গেটম্যান থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’