ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: এক মামলায় ১৩ জনের কারাদণ্ড
- আপডেট : ০৭:০০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
- / 143
বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুখ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ এই রায় ঘোষণা করেন।
সংঘটিত সহিংসতায় দায়ের করা আট মামলার মধ্যে নাসিরগর উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়া এলাকার পুরাতন দুর্গামন্দিরে অগ্নিসংযোগ মামলায় এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) দিদারুল আলম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মোখলেছ মিয়া, মফিজুল হক, খসরু মিয়া, নাজির রহমান, মাফুজ মিয়া, ইদু মিয়া, শেখ মো. আব্দুল আহাদ, সায়হাম রাব্বি শ্যাম, মীর কাশেম, আনিস মিয়া, তাবারক রেজা, সজিব চৌধুরী এবং হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি।
এদের মধ্যে পাঁচজন পলাতক। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের সবার বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
আদালত ও নাসিরনগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের বাসিন্দা রসরাজ দাসের ফেসবুক আইডি থেকে ধর্মকে অবমাননা করে একটি পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর উপজেলা সদরের হিন্দুদের ১৫টি মন্দির ও অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়।
হামলার ঘটনায় স্থানীয় বারোয়ারি মন্দিরের পুরোহিতসহ দুই ব্যক্তি দুটি মামলা করেন। প্রত্যেকটি মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় নাসিরনগর থানায় মোট ৮টি মামলা করা হয়।
পুরাতন দুর্গামন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে করা মামলাটির বাদী নাসিরনগর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাধন কান্তি চৌধুরী। দীর্ঘ তদন্তের পর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তাদের সবারই সাজা হল।
তবে মামলার রায়ে সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান মামুন বলেন, যেকোনো মামলার সাজা দিতে গেলে নূন্যতম সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রয়োজন। কিন্তু সাক্ষ্য-প্রমাণহীন এই মামলায় ১৩ জনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখানে ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করছি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর নাজমুল হোসেন বলেন, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সাক্ষ্য-প্রমাণ বিচার বিশ্লেষণ করেই রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এটি অনুকরণীয় রায় হয়ে থাকবে।