কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপির কার্যালয় দখলে নিয়েছে বিএনপি
- আপডেট : ০৩:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 13
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিনই চৌদ্দগ্রামের বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মুজিবুল হকের ওই কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। ওই দিন থেকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক ও তাঁর অনুসারী নেতা–কর্মীরা এলাকাছাড়া। এ সুযোগে ভাঙচুরের ১২ দিন পর গত ১৭ আগস্ট কার্যালয়টি দখলে নেন স্থানীয় বিএনপির নেতা–কর্মীরা। কার্যালয়টির দরজা-জানালা মেরামত করা হয়েছে। বর্তমানে সেটি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করে মুজিবুল হকের ব্যবহৃত মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, ২০১৯ সালের শেষের দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম সদরে বিলুপ্ত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) একটি পরিত্যক্ত হলরুম নিজের কবজায় নেন তৎকালীন সংসদ সদস্য মুজিবুল হক। কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের এই সাবেক সংসদ সদস্য কিছুদিনের মধ্যেই হলরুমটি সংস্কার করে নিজের কার্যালয় বানান।
স্থানীয় মানুষের ভাষ্য, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক হারুনুর রশিদের অনুসারীরা কার্যালয়টি দখলে নিয়েছেন। দখলের সময় হারুনুর রশিদ নেতৃত্ব দেন। কামরুল হুদা ও হারুনুর একই বলয়ে রাজনীতি করেন।
তবে বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদের দাবি, তাঁরা কার্যালয়টি উদ্ধার করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রেখেছেন। সরকার চাইলে যেকোনো মুহূর্তে তাঁরা এটি ফিরিয়ে দিতে রাজি আছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজারের মাঝামাঝি এলাকায় কার্যালয়টির অবস্থান। মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের ডান পাশে রয়েছে একতলাবিশিষ্ট টিনশেড ভবনটি। হলরুমটির পাশেই নির্মিত হচ্ছে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার তিনতলাবিশিষ্ট একটি বিপণিবিতান।
কার্যালয়টি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক দল ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা চেয়েছেন কার্যালয়টির দখলে নিতে। তাঁরা বিষয়টি জানতে পেরে হলরুমটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। কেউ যেন দখলের সাহস না করেন, এ জন্য হলরুমের নাম রাখা হয়েছে ‘শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) হল’।
এ প্রসঙ্গে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, বিভিন্ন কাজের চাপে বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। তবে শিগগিরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এভাবে সম্পত্তি দখল করে রাজনৈতিক কার্যালয় করার কোনো সুযোগ নেই।