ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর, প্লাবনের আশঙ্কা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:২৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
  • / 115
::পটুয়াখালী প্রতিনিধি::

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাগরের বড় বড় ঢেউ তীরে এসে আছড়ে পড়ছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বুধবার সকাল থেকে দমকা হাওয়াসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রা।

এদিকে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে রবনাবাদ নদীর পানি ফের প্রবেশ করে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামের বেড়িবাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। প্লাবনের আশঙ্কা করেছে ওই ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে এবং গভীর মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পায়রা বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

এছাড়া সকল মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সক্রিয় বায়ুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

কুয়াকাটা ট্যুরিজাম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসাইন আমির বলেন, সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে এসে আছড়ে পড়ছে। এর ফলে সৈকতের ব্যাপক বালু ক্ষয় হচ্ছে।

কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস্য আড়ত সমবায় সমিতির সভাপতি মো. অনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধ থাকায় সাগরে কোনো ট্রলার নাই। বর্তমানে সগরবক্ষ উত্তাল রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর, প্লাবনের আশঙ্কা

আপডেট : ১২:২৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
::পটুয়াখালী প্রতিনিধি::

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাগরের বড় বড় ঢেউ তীরে এসে আছড়ে পড়ছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বুধবার সকাল থেকে দমকা হাওয়াসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রা।

এদিকে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে রবনাবাদ নদীর পানি ফের প্রবেশ করে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামের বেড়িবাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। প্লাবনের আশঙ্কা করেছে ওই ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে এবং গভীর মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পায়রা বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

এছাড়া সকল মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সক্রিয় বায়ুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

কুয়াকাটা ট্যুরিজাম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসাইন আমির বলেন, সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে এসে আছড়ে পড়ছে। এর ফলে সৈকতের ব্যাপক বালু ক্ষয় হচ্ছে।

কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস্য আড়ত সমবায় সমিতির সভাপতি মো. অনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধ থাকায় সাগরে কোনো ট্রলার নাই। বর্তমানে সগরবক্ষ উত্তাল রয়েছে।