মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, সিআইডির তিনজন গ্রেপ্তার
- আপডেট : ০১:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
- / 154
আটককৃতরা হলেন- রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসানুল হক ফারুক ও একজন মাইক্রোবাস চালক। চিরিরবন্দর থানার ওসি সুব্রত সরকার চারজনকে গ্রেপ্তারের সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
অপহরণের শিকার জহুরা বেগম (৫০) ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দাইল গ্রামের বাসিন্দা। জহুরা বেগম ওই গ্রামের লুৎফর রহমানের স্ত্রী।
বুধবার সকাল থেকেই গ্রেপ্তারকৃতদের দিনাজপুর জেলা পুলিশ কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অপহৃত জাহাঙ্গীরকে জেলা পুলিশ কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সূত্র জানায়, গত সোমবার (২২ আগস্ট) আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে চিরিরবন্দরের নান্দাইল গ্রামের লুৎফর রহমানের বাসায় রংপুর বিভাগীয় সিআইডি পুলিশ পরিচয়ে ঢোকে আতককৃতরা। পরে তারা ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে নগদ অর্থ ও মোটরসাইকেলসহ লুৎফর রহমানের স্ত্রী জহুরা ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে অপহরণ করে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে অপহরণকারীরা মুক্তিপণ চেয়ে পরিবারের নিকট ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করে। এ বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যরা চিরিরবন্দর থানা পুলিশ, দিনাজপুর র্যাব অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানায়। এরপর চিরিরবন্দর থানা পুলিশ যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে সেই মোবাইল নাম্বারটি ট্র্যাকিং করে এবং অপহরণকারীদের সাথে মোবাইলে কথাবার্তা বলে।
মোবাইল নাম্বারটি ট্র্যাকিং করে পুলিশ জানতে পারে দিনাজপুর সদর উপজেলার দশমাইল নামক জায়গায় অবস্থান করছে তারা। পরে চিরিরবন্দর থানা পুলিশ দশমাইল যায়। সেখানে মাইক্রোবাস থেকে অপহৃত মা এবং ছেলেসহ অপহরণকারী ৪ সদস্যকে আটক করে। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের দিনাজপুর জেলা পুলিশ কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
রংপুর সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতাউর রহমান জানান, তিনি শুনেছেন দিনাজপুরে সিআইডির তিন সদস্য আটক হয়েছে।
তিনি বলেন, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসান-উল ফারুক ছুটিতে ছিলেন এবং এএসপি সারোয়ার কবীর ডিউটিতে ছিলেন। তবে এএসপি সারোয়ার কবীর কাউকে না জানিয়েই দিনাজপুরে গেছেন। তারা যদি দিনাজপুরে গিয়ে অপহরণ বা কোনো বেআইনি কাজ করে থাকে, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিআইডি’র এএসপি, পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও কন্সটেবল আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তপূর্বক মামলা দায়ের করা হবে।