ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মা-ছেলেকে অপহরণ, সিআইডির দুই সদস্য বরখাস্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:৩৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
  • / 136
দিনাজপুর চিরিরবন্দরের মা-ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় আটক হওয়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসিনুর রহমান এবং কনস্টেবল আহসান উল ফারুককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে রংপুর সিআইডির এএসপি আতাউর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসিনুর এবং আহসানুল হক কে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। তবে এএসপি সারোয়ার কবীর সোহাগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের ওপর এএসপি সারোয়ার কবীর সোহাগের বিষয়টি নির্ভর করছে।

রংপুর সিআইডির সোর্স পলাশ চিরিরবন্দর উপজলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের নান্দারাই গ্রামের গাদুশা পাড়ার লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযাগ করেন। তার অভিযাগের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার দিবাগত রাত সাড় নয়টার দিকে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার সারোয়ার কবির সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসান উল ফারুক, পুলিশের সোর্স সফিউল আলম পলাশ এবং মাইক্রোবাস চালক হাবিব মিয়া লুৎফরের বাড়িতে যায়। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও ছেলেকে কালো মাইক্রাবাসে করে তুলে নিয়ে যায়।

পরে দুজনকে অপহরণ করা হয়েছে এমন দাবি করে বিষয়টি চিরিরবন্দর থানায় জানানো হলে প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার দশ মাইল এলাকায় অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত এবং ২০ ঘণ্টা পরে অপহৃতদের উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে রংপুর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সারোয়ার কবির সোহাগ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসান উল ফারুক ও তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালক হাবিবকে আটক করা হয়। অপহরণে জড়িত সন্দেহে পরবর্তীতে ফসিউল আলম পলাশ নামে আরও একজনকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে গত বুধবার চিরিরবন্দর থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে মামলাটি দিনাজপুর পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়। মামলাটিতে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার বিকালে পাঁচজনকে দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসুর আদালতে হাজির করা হয়।

সন্ধ্যায় আদালতে ১৬৪ ধারায় মামলার অন্যতম আসামি ফসিউল আলম পলাশের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এরপর পাঁচজনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আদালত সেই সঙ্গে মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভুক্তভোগী মা জহুরা খাতুন এবং আরও দুই সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মা-ছেলেকে অপহরণ, সিআইডির দুই সদস্য বরখাস্ত

আপডেট : ১২:৩৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
দিনাজপুর চিরিরবন্দরের মা-ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় আটক হওয়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসিনুর রহমান এবং কনস্টেবল আহসান উল ফারুককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে রংপুর সিআইডির এএসপি আতাউর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসিনুর এবং আহসানুল হক কে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। তবে এএসপি সারোয়ার কবীর সোহাগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের ওপর এএসপি সারোয়ার কবীর সোহাগের বিষয়টি নির্ভর করছে।

রংপুর সিআইডির সোর্স পলাশ চিরিরবন্দর উপজলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের নান্দারাই গ্রামের গাদুশা পাড়ার লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযাগ করেন। তার অভিযাগের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার দিবাগত রাত সাড় নয়টার দিকে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার সারোয়ার কবির সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসান উল ফারুক, পুলিশের সোর্স সফিউল আলম পলাশ এবং মাইক্রোবাস চালক হাবিব মিয়া লুৎফরের বাড়িতে যায়। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও ছেলেকে কালো মাইক্রাবাসে করে তুলে নিয়ে যায়।

পরে দুজনকে অপহরণ করা হয়েছে এমন দাবি করে বিষয়টি চিরিরবন্দর থানায় জানানো হলে প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার দশ মাইল এলাকায় অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত এবং ২০ ঘণ্টা পরে অপহৃতদের উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে রংপুর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সারোয়ার কবির সোহাগ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসান উল ফারুক ও তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালক হাবিবকে আটক করা হয়। অপহরণে জড়িত সন্দেহে পরবর্তীতে ফসিউল আলম পলাশ নামে আরও একজনকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে গত বুধবার চিরিরবন্দর থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে মামলাটি দিনাজপুর পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়। মামলাটিতে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার বিকালে পাঁচজনকে দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসুর আদালতে হাজির করা হয়।

সন্ধ্যায় আদালতে ১৬৪ ধারায় মামলার অন্যতম আসামি ফসিউল আলম পলাশের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এরপর পাঁচজনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আদালত সেই সঙ্গে মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভুক্তভোগী মা জহুরা খাতুন এবং আরও দুই সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করে।