ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চারদিনেও উদ্ধার হয়নি ৩ ছাত্রী, চার শিক্ষক হাজতে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৫২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 86

নিখোঁজ তিন শিশুছাত্রী

জামালপুরের ইসলামপুরে নিখোঁজের ৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি মাদ্রাসা থেকে উধাও হওয়া ৩ ছাত্রী। এ ঘটনায় আটক হওয়া ৪ মাদ্রাসা শিক্ষককে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

আদালত জামিন নামঞ্জুর করে অধ্যক্ষ (মুহতামিম) মাওলানা আসাদুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক রাবেয়া আক্তার, শুকরিয়া আক্তার ও ইলিয়াস হোসেনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

গত রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে ফজরের নামাজের পর জামালপুরের ইসলামপুরের গোয়ালেরচর ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকায় দারুতাক্কুয়া মহিলা কওমি মাদ্রাসা থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। তারা হলেন- গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ার চর সরদার পাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মিম আক্তার (৯), গোয়ালের চর ইউনিয়নের সভুকড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা খাতুন (১১) ও দক্ষিণ সভুকুড়া গ্রামের সুরুজ্জামানের মেয়ে সূর্যবানু (১০)।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইসলামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত হয়েছিল। সাধারণ ডায়েরির পর ওইদিন রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পর নিখোঁজ মনিরা খাতুনের বাবা মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে আটককৃত চার শিক্ষকসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে মানবপাচার দমন আইনে মামলা করেন। মামলা নং ১০।

এ বিষয়ে ইসলামপুর থানার ওসি মো. মাজেদুর রহমান জানান, শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি হলে ওই মাদ্রাসায় পুলিশ পাঠাই। মাদ্রাসাটির নিবন্ধন না থাকায় এর পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে ছাত্রীদেরকে তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয়। সেইসঙ্গে সোমবার রাতে মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ ও তিনজন সহকারী শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান ওসি।

তিনি আরও বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার পর নিখোঁজ মনিরা খাতুনের বাবা বাদী হয়ে ওই চার শিক্ষক ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে মানবপাচার দমন আইনে মামলা করেন। এ মামলায় ওই চার শিক্ষককে আজ বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চারদিনেও উদ্ধার হয়নি ৩ ছাত্রী, চার শিক্ষক হাজতে

আপডেট : ০১:৫২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
জামালপুরের ইসলামপুরে নিখোঁজের ৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি মাদ্রাসা থেকে উধাও হওয়া ৩ ছাত্রী। এ ঘটনায় আটক হওয়া ৪ মাদ্রাসা শিক্ষককে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

আদালত জামিন নামঞ্জুর করে অধ্যক্ষ (মুহতামিম) মাওলানা আসাদুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক রাবেয়া আক্তার, শুকরিয়া আক্তার ও ইলিয়াস হোসেনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

গত রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে ফজরের নামাজের পর জামালপুরের ইসলামপুরের গোয়ালেরচর ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকায় দারুতাক্কুয়া মহিলা কওমি মাদ্রাসা থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। তারা হলেন- গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ার চর সরদার পাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মিম আক্তার (৯), গোয়ালের চর ইউনিয়নের সভুকড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা খাতুন (১১) ও দক্ষিণ সভুকুড়া গ্রামের সুরুজ্জামানের মেয়ে সূর্যবানু (১০)।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইসলামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত হয়েছিল। সাধারণ ডায়েরির পর ওইদিন রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পর নিখোঁজ মনিরা খাতুনের বাবা মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে আটককৃত চার শিক্ষকসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে মানবপাচার দমন আইনে মামলা করেন। মামলা নং ১০।

এ বিষয়ে ইসলামপুর থানার ওসি মো. মাজেদুর রহমান জানান, শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি হলে ওই মাদ্রাসায় পুলিশ পাঠাই। মাদ্রাসাটির নিবন্ধন না থাকায় এর পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে ছাত্রীদেরকে তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয়। সেইসঙ্গে সোমবার রাতে মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ ও তিনজন সহকারী শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান ওসি।

তিনি আরও বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার পর নিখোঁজ মনিরা খাতুনের বাবা বাদী হয়ে ওই চার শিক্ষক ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে মানবপাচার দমন আইনে মামলা করেন। এ মামলায় ওই চার শিক্ষককে আজ বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।