ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ৩৮ চেয়ারম্যান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:২৮:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 180
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বাগেরহাটে প্রথম ধাপের ইউপি র্নিবাচনে ৬৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৩৮ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশ নেয়া এ প্রার্থীদের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তারা বিজয়ী হচ্ছেন।

বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ এ বিষয়টি জানান।

এছাড়া বাকি ২৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া বাকি ২৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন কর্মকর্তা আরও জানান, বাগেরহাটের ৬৬টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে ভোটের পরিবেশ ঠিক রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর (পুলিশ, আনসার, র্যা ব, কোস্টগার্ড) বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হবে। নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে ৬৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৩৮ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ২ হাজার ২৮৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭৮৫ জন নারী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলায় নারী-পুরুষ মিলিয়ে দশ লাখেরও বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বাগেরহাটের চারটি ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো ইভিএম এ ভোট গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। বাকিগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট হবে।

এর আগে ২০১৭ সালের ইউপি নির্বাচনে এই জেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, ‘আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বাগেরহাটের ৬৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের যোগ্য প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। যারা দলের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে।’

বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের দিনে তারা স্ব স্ব এলাকায় টহল দেবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে তার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ৩৮ চেয়ারম্যান

আপডেট : ১১:২৮:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বাগেরহাটে প্রথম ধাপের ইউপি র্নিবাচনে ৬৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৩৮ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশ নেয়া এ প্রার্থীদের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তারা বিজয়ী হচ্ছেন।

বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ এ বিষয়টি জানান।

এছাড়া বাকি ২৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া বাকি ২৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন কর্মকর্তা আরও জানান, বাগেরহাটের ৬৬টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে ভোটের পরিবেশ ঠিক রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর (পুলিশ, আনসার, র্যা ব, কোস্টগার্ড) বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হবে। নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে ৬৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৩৮ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ২ হাজার ২৮৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭৮৫ জন নারী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলায় নারী-পুরুষ মিলিয়ে দশ লাখেরও বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বাগেরহাটের চারটি ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো ইভিএম এ ভোট গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। বাকিগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট হবে।

এর আগে ২০১৭ সালের ইউপি নির্বাচনে এই জেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, ‘আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বাগেরহাটের ৬৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের যোগ্য প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। যারা দলের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে।’

বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের দিনে তারা স্ব স্ব এলাকায় টহল দেবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে তার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।