ঢাকা ০৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁশের সাঁকোয় দুভোর্গে এলাকাবাসী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৩৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 86
“জন্মের পর থেকেই দেখছি পারাপারে বাঁশের সাঁকোর ভোগান্তি। ভোগান্তির শেষ কবে হবে তা জানিনা। তবে মৃত্যুর পূর্বে সমাধান দেখে গেলে শান্তি পেতাম”। কথাগুলো আক্ষেপ করে বললেন উত্তর রাঙ্গামালিয়া গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধ মোঃ ইদ্রিস মাদবর।

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার উত্তর রাঙ্গামালিয়া গ্রামের মাদবর বাড়ি পাশে ইছামতি খাল পারাপারে বাঁশের সাঁকোর দুরবস্থা শতবর্ষেরও বেশি। গুরুত্বপূর্ন এ সাঁকোটি মাদবর পাড়াসহ আশেপাশের এলাকার মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা। সাঁকোটি প্রায় ২শত ফুট লম্বা। প্রতিদিন ওই বাড়ির লোকজনের হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, কৃষি কাজ ও জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের যেকোন কাজের জন্য এ সাঁকো টি পার হতে হয়।

এলাকাবাসী জানান, শুরু থেকেই সাঁকোটির দুরবস্থা। সাঁকো থেকে পরে এ পর্যন্ত দুজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, কয়েকজন পঙ্গু হয়েছেন। অনেকের মূল্যবান মালা-মাল পানিতে পরে তলীয়ে গেছে। সাঁকোটির নীচ দিয়ে প্রতিদিন বালুবাহিত ট্রলার, যাত্রী ও মালবাহি বিভিন্ন ধরনের নৌকা চলাচল করে। তাই প্রায় সময়ই ট্রলার ও নৌকার ধাক্কায় সাঁকোটি ভেঙ্গে কিংবা নড়বড়ে হয়ে যায়। তখন ঠিক না করা পর্যন্ত সাঁকোটির উপর মানুষ চলাচল বন্ধ থাকে। ওই সময়ে নদী সাঁতরিয়ে পার হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। এ নিয়ে চলাচলকারী ট্রলার,নৌকার চালকের সাথে এলাকাবাসীর প্রায়ই ঝগড়া-মারামারির সৃষ্টি হয়। রাতের অন্ধকার কিংবা বৃষ্টির সময় শিশু, বৃ্দ্ধ কিংবা যে কোন লোকের পক্ষে পারাপার কঠিন হয়ে যায়।

মাদবর বাড়ির মোঃ গিয়াসউদ্দিন জানান, প্রতিবছর সাঁকোটি তাদের বাড়ির সকলের টাকায় মেরামত করতে হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে অবহিত করেও কোন কাজ হয়নি। এছাড়া সাঁকোটির দুরবস্থার চিত্র বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রচার হয়েছে। তবে প্রতিটি নির্বাচনের পূর্বে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা সাঁকোটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচিত হওয়ার পর মনে রাখেনা। তাই এলাকাবাসী উক্ত সাঁকোটির স্থলে একটি পাকা ব্রীজ নির্মাণের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দারস্থ হচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাঁশের সাঁকোয় দুভোর্গে এলাকাবাসী

আপডেট : ১১:৩৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
“জন্মের পর থেকেই দেখছি পারাপারে বাঁশের সাঁকোর ভোগান্তি। ভোগান্তির শেষ কবে হবে তা জানিনা। তবে মৃত্যুর পূর্বে সমাধান দেখে গেলে শান্তি পেতাম”। কথাগুলো আক্ষেপ করে বললেন উত্তর রাঙ্গামালিয়া গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধ মোঃ ইদ্রিস মাদবর।

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার উত্তর রাঙ্গামালিয়া গ্রামের মাদবর বাড়ি পাশে ইছামতি খাল পারাপারে বাঁশের সাঁকোর দুরবস্থা শতবর্ষেরও বেশি। গুরুত্বপূর্ন এ সাঁকোটি মাদবর পাড়াসহ আশেপাশের এলাকার মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা। সাঁকোটি প্রায় ২শত ফুট লম্বা। প্রতিদিন ওই বাড়ির লোকজনের হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, কৃষি কাজ ও জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের যেকোন কাজের জন্য এ সাঁকো টি পার হতে হয়।

এলাকাবাসী জানান, শুরু থেকেই সাঁকোটির দুরবস্থা। সাঁকো থেকে পরে এ পর্যন্ত দুজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, কয়েকজন পঙ্গু হয়েছেন। অনেকের মূল্যবান মালা-মাল পানিতে পরে তলীয়ে গেছে। সাঁকোটির নীচ দিয়ে প্রতিদিন বালুবাহিত ট্রলার, যাত্রী ও মালবাহি বিভিন্ন ধরনের নৌকা চলাচল করে। তাই প্রায় সময়ই ট্রলার ও নৌকার ধাক্কায় সাঁকোটি ভেঙ্গে কিংবা নড়বড়ে হয়ে যায়। তখন ঠিক না করা পর্যন্ত সাঁকোটির উপর মানুষ চলাচল বন্ধ থাকে। ওই সময়ে নদী সাঁতরিয়ে পার হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। এ নিয়ে চলাচলকারী ট্রলার,নৌকার চালকের সাথে এলাকাবাসীর প্রায়ই ঝগড়া-মারামারির সৃষ্টি হয়। রাতের অন্ধকার কিংবা বৃষ্টির সময় শিশু, বৃ্দ্ধ কিংবা যে কোন লোকের পক্ষে পারাপার কঠিন হয়ে যায়।

মাদবর বাড়ির মোঃ গিয়াসউদ্দিন জানান, প্রতিবছর সাঁকোটি তাদের বাড়ির সকলের টাকায় মেরামত করতে হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে অবহিত করেও কোন কাজ হয়নি। এছাড়া সাঁকোটির দুরবস্থার চিত্র বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রচার হয়েছে। তবে প্রতিটি নির্বাচনের পূর্বে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা সাঁকোটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচিত হওয়ার পর মনে রাখেনা। তাই এলাকাবাসী উক্ত সাঁকোটির স্থলে একটি পাকা ব্রীজ নির্মাণের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দারস্থ হচ্ছেন।