প্রতারণার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিতো ‘টিকটক রাজ’
- আপডেট : ১১:৩৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
- / 109
সোমবার র্যাবের যৌথ অভিযানে রাজধানী মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ০১টি মোবাইল, ০৭ টি সিমকার্ড, মেমোরি কার্ড, র্যাবের ইউনিফর্ম, স্কার্প, ভুয়া আইডি কার্ড, চেইন, বাঁশি ও বুট জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সাম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম তার ব্যাপারে অনুসন্ধান চালায় ও তার ওপর নজর রাখে। র্যাব তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর সত্যতা পায়। সে দীর্ঘদিন ধরে টিকটক, ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ও ভাইবারের নিজেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায় র্যাব। এর আগেও তার নামে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য সে পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধানসহ চুলও কাটতো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মতো করে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক পরে সে টিকটক ভিডিও বানাতো। পরে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতো। সে প্রতারনার মাধ্যমে ও মিথ্যা পরিচয়ে এ পর্যন্ত চারটি বিয়ে করেছেন। এছাড়াও শতাধিক নারীর সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি তুলেছে ও সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এগুলো সে তার মোবাইলে সংরক্ষণ করে রাখতো। সে ওই ভিডিওগুলো ফেসবুক ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে নারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করতো।
তিনি আরও জানান, তিনি গত দুই বছর ধরে অনলাইন প্লাটফর্মে এসব অপরাধের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তার নির্মিত ও প্রচারিত এসব ভিডিও ইতিমধ্যে ২ মিলিয়নের বেশি ভিউ এবং ফলোয়ার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যসে সে নারীদের বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতো। পরে তাদের ব্লাকমেইল করে অর্থ আদায় করতো।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন বাহিনীর প্রচারমূলক ভিডিও সুবিধাজনকভাবে এডিট করে প্রচার করতো। ফটোশপের মাধ্যমে সে ওই সব অনুষ্ঠাকনে নিজের উপস্থিতি ও কর্মকাণ্ড দেখিয়ে তা প্রচার করতো। এছাড়াও নিজেকে ধর্ণাঢ্য পরিবারের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতো। অন্যের বাড়ি ও আমবাগান নিজের বলে চালিয়ে দিতো। সে বিভিন্ন ধরনের ইমোশনাল ভিডিও তৈরি করতো। তার ফলোয়াররা জানতো সে বিজিবি থেকে র্যাবে আসার পর র্যাব-১২ থেকে র্যাব-৫ বদলি হয়েছে।