ঢাকা ০৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাবার পরকীয়ায় বলি শিশু ফাহিমা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৩০:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
  • / 125
পরকীয়ার কারণে নিজের সন্তানকে হত্যা ও গুমের চেষ্টার অভিযোগ আমির হোসেন নামে এক ব্যক্তি ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। কুমিল্লার দেবিদ্ধার ও রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নিহত শিশু ফাতেমার বাবা আমির হোসেন (২৫), রবিউল আউয়াল (১৯), রেজাউল ইসলাম ইমন (২২), মোসা. লাইলি আক্তার (৩০) ও সোহেল রানা (২৭)।

ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন, ‘এক বছর ধরে কুমিল্লার দেবিদ্বারের ট্রাক্টর চালক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পাশের বাসার লাইলির পরকীয়া সম্পর্ক চলছে। কিছুদিন আগে শিশু ফাতিমা তার বাবা আমির ও লাইলিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। তাদের অনৈতিক এ সম্পর্কের কথা তার মাকে বলে দিবে জানালে ওই নারী ফাহিমাকে হত্যার জন্য তার বাবাকে প্ররোচিত করে। পরে দুজনে মিলে ফহিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৬ নভেম্বর ফাহিমাকে চকলেট কিনে দেয়া ও ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নির্জন স্থানে নিয়ে হাত পা বেঁধে প্রথমে ছুরিকাঘাত এবং পরে শ্বাসরোধের মাধ্যমে মৃত্যু নিশ্চিত করে। তারা ফাহিমার মরদেহ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে সিএনজিতে করে ইমনের গরুর ঘরে নিয়ে ড্রামের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। পরে ৯ নভেম্বর রাতে সোহেল রানার সিএনজিতে করে ফাহিমার বস্তাবন্দি মরদেহ কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর কালভার্টের নিচের ডোবায় ফেলে দেয়। এ হত্যাকাণ্ডে আমির হোসেনকে সোহযোগীতা করেছে লাইলি , রবিউল, ইমন ও সোহেল রানা।

তিনি জানান, শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পর ফাহিমার বাবা নিজেই ৭ ও ৮ নভেম্বর গ্রামে মাইকিং করে এবং শ্বশুর বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে মেয়েকে খোঁজা-খুঁজির নাটক করে। এমনকি ৮ নভেম্বর ফকির-কবিরাজকে ডেকে ঝার-ফুঁকের মাধ্যমে মেয়েকে খোঁজা নাটকও করে।

র‌্যাব জানায়, ১৪ নভেম্বর দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর এলাকার জনৈক নজরুল মাস্টারের বাড়ির সামনের সরকারি খাল থেকে ফাতিমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ফাতিমার পরিবার তার পরিচয় নিশ্চিত করার পর তার বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‌্যাব-১১ ছায়া তদন্ত করে হত্যা মূল রহস্য উদঘাটন করে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফাহিমার বাবাসহ ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাবার পরকীয়ায় বলি শিশু ফাহিমা

আপডেট : ১১:৩০:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
পরকীয়ার কারণে নিজের সন্তানকে হত্যা ও গুমের চেষ্টার অভিযোগ আমির হোসেন নামে এক ব্যক্তি ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। কুমিল্লার দেবিদ্ধার ও রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নিহত শিশু ফাতেমার বাবা আমির হোসেন (২৫), রবিউল আউয়াল (১৯), রেজাউল ইসলাম ইমন (২২), মোসা. লাইলি আক্তার (৩০) ও সোহেল রানা (২৭)।

ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন, ‘এক বছর ধরে কুমিল্লার দেবিদ্বারের ট্রাক্টর চালক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পাশের বাসার লাইলির পরকীয়া সম্পর্ক চলছে। কিছুদিন আগে শিশু ফাতিমা তার বাবা আমির ও লাইলিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। তাদের অনৈতিক এ সম্পর্কের কথা তার মাকে বলে দিবে জানালে ওই নারী ফাহিমাকে হত্যার জন্য তার বাবাকে প্ররোচিত করে। পরে দুজনে মিলে ফহিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৬ নভেম্বর ফাহিমাকে চকলেট কিনে দেয়া ও ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নির্জন স্থানে নিয়ে হাত পা বেঁধে প্রথমে ছুরিকাঘাত এবং পরে শ্বাসরোধের মাধ্যমে মৃত্যু নিশ্চিত করে। তারা ফাহিমার মরদেহ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে সিএনজিতে করে ইমনের গরুর ঘরে নিয়ে ড্রামের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। পরে ৯ নভেম্বর রাতে সোহেল রানার সিএনজিতে করে ফাহিমার বস্তাবন্দি মরদেহ কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর কালভার্টের নিচের ডোবায় ফেলে দেয়। এ হত্যাকাণ্ডে আমির হোসেনকে সোহযোগীতা করেছে লাইলি , রবিউল, ইমন ও সোহেল রানা।

তিনি জানান, শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পর ফাহিমার বাবা নিজেই ৭ ও ৮ নভেম্বর গ্রামে মাইকিং করে এবং শ্বশুর বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে মেয়েকে খোঁজা-খুঁজির নাটক করে। এমনকি ৮ নভেম্বর ফকির-কবিরাজকে ডেকে ঝার-ফুঁকের মাধ্যমে মেয়েকে খোঁজা নাটকও করে।

র‌্যাব জানায়, ১৪ নভেম্বর দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর এলাকার জনৈক নজরুল মাস্টারের বাড়ির সামনের সরকারি খাল থেকে ফাতিমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ফাতিমার পরিবার তার পরিচয় নিশ্চিত করার পর তার বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‌্যাব-১১ ছায়া তদন্ত করে হত্যা মূল রহস্য উদঘাটন করে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফাহিমার বাবাসহ ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করে।